আক্তারুজ্জামান : মাত্র ১টি ওভার বাকি ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হতে। ঠিক তখনই দুরন্ত গতিতে নেমে এলো বৃষ্টি। এর আগে ৪৯ ওভার ব্যাটিং করে ৩৬৮ রানের বিশাল রান তুলেছিল। বৃষ্টি শেষ হতেই ক্রিজে এলেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি ও মার্কাস স্টোইনিস। শেষ ওভারে বল হাতে নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। রান দিলেন ১৪। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে ৩৮২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজ মাঠটি ব্যাটিং পিচ হিসেবে বিশেষ খ্যাতি পাওয়া আছে আগেই। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেটার দেখাও মিললো। দুটি বড় পার্টনারশিপেই মূলত বিশাল রানের পুঁজি পেয়েছে অ্যারন ফিঞ্চরা। দুই ওপেনারকে পরাস্ত করতেই ২১ ওভার খেলতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের। ওই ওভারে পার্ট টাইম বোলার হিসেবে বল তুলে নেওয়া সৌম্য সরকার ফেরালেন সদ্য অর্ধশত করা অ্যারন ফিঞ্চকে (৫৩)। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। ১২১ রান তুলে ফেলেছে ল্যাঙ্গারের শিষ্যরা।
এরপর শুরু ওয়ার্নার-খাজা তাণ্ডব। এ জুটি ছিল আরও ভয়ঙ্কর। প্রায় ২৪ ওভার খেলে এদুজন যোগ করেন আরও ১৯২ রান। ১৬৬ রানে সৌম্যর বলেই ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। শান্ত মেজাজের উসমান খাজাও যেন শান দেওয়া ব্যাট হাতে নেমেছিলেন। সাকিব-রুবেলদের কচুকাটা করে ৭২ বলে ৮৯ রান করে সৌম্যর তৃতীয় শিকারে ফেরেন।
বিপদ যেন তখনও অপেক্ষা করছিল।গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে নেমে ১০টি বল খেলে নাভিশ্বাস তুলে দিলেন রুবেল হোসেনের। ৫টি বল খেলেই তুলে নেন ২২ রান।
পরে অবশ্য রানের চাকা একটু টেনে ধরেছিল মুস্তাফিজ-সৌম্য। ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০ তম ওভারে রান আসে যথাক্রমে ২, ৫, ৯ ও ১৪। সৌম্যর ৩টি ছাড়াও স্মিথকে দারুণ ফুলটসে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ।
আপনার মতামত লিখুন :