শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২১ জুন, ২০১৯, ০১:৩২ রাত
আপডেট : ২১ জুন, ২০১৯, ০১:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবনে একবার হলেও পড়া দরকার ‘সালাতুত তাসবিহ’

আমিন মুনশি : হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন, ‘একদিন প্রিয়নবি সা. (আমার পিতা) হজরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে বললেন, ‘হে আব্বাস! হে চাচাজান! আমি কি আপনাকে দেবো না? আমি কি আপনাকে দান করবো না? আমি কি আপনাকে সংবাদ দেবো না? আমি কি আপনার সাথে দশটি সৎকাজ করবো না? (অর্থাৎ দশটি উত্তম তাসবিহ শিক্ষা দেব না!) যখন আপনি তা (আমল) করবেন তখন আল্লাহ তাআলা আপনার আগের, পরের, পুরাতন, নতুন, ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত, সগিরা, কবিরা, গুপ্ত ও প্রকাশ্য সব ধরণের গুনাহ মাফ করে দিবেন।

আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং যে কোনো একটি সুরা মেলাবেন। (অর্থাৎ প্রত্যেক রাকাতে এ তাসবিহটি ৭৫ বার করে আদায় করতে হবে।) নামাজের যেসব স্থানে এ তাসবিহ পাঠ করতে হবে। তা হলো, প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলানোর পর রুকুর আগে দাঁড়ানো অবস্থায়- ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’। (১৫ বার)

অতঃপর রুকুর তাসবিহ-এরপর রুকু অবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার। তারপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার। অতঃপর সেজদার তাসবিহ, এরপর মাথা নত করবেন এবং সেজদাবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার। তারপর দুই সেজদার মাঝে বসে (এ তাসবিহ) ১০ বার। অতঃপর পুনরায় দ্বিতীয় সেজদায় ১০ বার এবং পুনরায় সেজদা থেকে মাথা ওঠিয়ে ১০ বার। মোট প্রত্যেক রাকাতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাতে মোট ৩০০ বার এ তাসবিহ পাঠ করা।

(হে চাচা!) এভাবে যদি প্রতিদিন একবার এ নামাজ পড়তে সক্ষম হন; তবে তা পড়বেন। আর যদি সক্ষম না হন, তবে প্রত্যেক জুমআর দিনে একবার পড়বেন। তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক মাসে একবার পড়বেন। তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক বছর একবার পড়বেন। আর যদি তাও না পারেন তবে আপনার জীবনে অন্তত একবার পড়বেন।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

এ হলো ফজিলতপূর্ণ সর্বাধিক তাসবিহ সম্বলিত নামাজ- ‘সালাতুত তাসবিহ’। জীবনে একবার হলেও তাই এ নামাজ পড়া দরকার। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফরজ নামাজের পাশাপাশি ‘সালাতুত তাসবিহ’সহ অন্যান্য নফল ইবাদত-বন্দেগি আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়