লিহান লিমা: নারীর প্রতি সহিংসতা ঠেকাতে ১ হাজার বিশেষ আদালত চালুর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারক আসিফ সায়েদ খোসা এই তথ্য জানান। দেশটিতে মানবাধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা ও অবহেলার অভিযোগ করে আসছে। দ্য গার্ডিয়ান।
রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে টেলিকাস্ট করা ভাষণে প্রধান বিচারক বলেন, ‘আমরা পুরো দেশজুড়ে ১ হাজার ১৬টি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধক আদালত চালু করতে যাচ্ছি। এই আদালতগুলোর পরিবেশ অন্য সব আদালতের থেকে ভিন্ন হবে। বিশেষ এই আদালতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি কোন ধরনের ভয় ও দ্বিধা ছাড়াই নিজের বক্তব্য পেশ করতে পারবেন।’ নতুন এই আদালতগুলো বর্তমান আদালতের দ্বারা পরিচালিত হবে। কিন্তু অন্য মামলাগুলোর চাইতে এখানে পারিবারিক নির্যাতনের মামলার শুনানি আলাদাভাবে করা হবে এবং এটি ভুক্তভোগীর আস্থা যোগাবে। মানবাধিকার বিষয়ক কর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই রক্ষণশীল দেশটিতে পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে কথা বলাও একটি ট্যাবু। প্রতিবছর দেশটিতে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হাজারো মামলা রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, এসিড হামলা, যৌন হয়রানি, অপহরণ ও তথাকথিত ‘অনার কিলিং’।
পাকিস্তানের হিউম্যান রাইটস কমিশনের তথ্যমতে, দেশটিতে ২০১৮ সালে কমপক্ষে ৮৪৫টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। যদিও কমিশন আরো জানায়, এটি দেশজুড়ে যৌন সহিংসতার পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে যৌন হয়রানি নিয়ে কোন কথাই হয় না। গত বছর থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, নারীর জন্য ভয়ঙ্কর দেশগুলোর তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ষষ্ঠ। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :