আসিফুজ্জামান পৃথিল : আফ্রিকা থেকে চীন ও ইউরোপে হাজার হাজার টন মাছের তেল রপ্তানি মহাদেশটির অধিবাসীদের খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক সমস্যা ও নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বুধবার পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনপিস বুধবার এ কথা জানিয়েছে। এএফপি।
সেনেগালের রাজধানী ডাকারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রীনপিস বলেছে, তারা ৫০টি কোম্পানি খুঁজে পেয়েছে যারা মাছের তেল ও মৎসজাত খাদ্য তৈরী করে। এই কারখানাগুলো মূলত মৌরিতানিয়ায় অবস্থিত হলেও পশ্চিম আফ্রিকার অন্য দেশ যেমন গাম্বিয়া ও সেনেগালেও এগুলোর উপস্থিতি রয়েছে।
গ্রীনপিসের পক্ষে ইব্রাহিমা সিসে বলেন, ‘রপ্তানির জন্য হাজার হাজার টন মাছতে তেল ও খাদ্যে পরিণত করা হয়। এগুলো ৪ কোটি আফ্রিকান নারী ও পুরুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে পারতো।’ এই মৎসজাত খাদ্যগুলো প্রধানত পোল্ট্রি, শুকর এবং অন্যান্য গাবাদিপশুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সিসে আরো বলেন, ‘আফ্রিকানদের অবশ্যই নিজেদের অধিকারের প্রতি সচেতন হতে হবে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোকে অবশ্যই মাছের তেল ও মৎসজাত পশুখাদ্যের কারখানাগুলো বন্ধ করতে হবে। এই অঞ্চলের মৎস মজুদের জন্য এগুলো সত্যিকারের হুমকি। স্থানীয় জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী।’
গ্রীনপিসের দেওয়া তথ্যমতে, সেনেগালের ৭০ শতাংশ এবং গাম্বিয়ার ৫০ শতাংশ মানুষের প্রানীজ আমিষের চাহিদা মাছ দ্বারা পূরণ হয়। এই শিল্পের দ্বারা সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছে সারডিনেলার মতো ক্ষুদ্রাকৃতির মাছ। গত বছর মৌরিতানিয়া তাদের মাছ উৎপাদনের বড় অংশ চীন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, তুরস্ক এবং ভিয়েতনামে রপ্তানি করে। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :