শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০১৯, ০৮:৫০ সকাল
আপডেট : ২০ জুন, ২০১৯, ০৮:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমদানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি, বাড়ছে দেশীয় উৎপাদন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে বাংলাদেশ

স্বপ্না চক্রবর্তী : দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলেও আমদানি বাণিজ্য নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে। বিশেষ করে গত তিন মাসে এই সূচক একেবারেই নিচের দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিষয়টিকে দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের দাবি দেশীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনেকেই আমদানিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এ কারণেই কমেছে আমদানি প্রক্রিয়া। কিন্তু এতে করে দেশীয় অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। এতে করে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে আমদানি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এর আগে মার্চে আমদানি প্রবৃদ্ধি মাত্র এক শতাংশে আটকে ছিলো। আর গত ফেব্রুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিল মাসের আমদানিতে শুধু নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে তাই নয় আমদানির পরিমাণও কমেছে। ২০১৮ সারের এপ্রিয়ে আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৫৪৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের এপ্রিলে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৫১২ কোটি ১ লাখ ডলার। এ হিসাবে গত অর্থবছরের এপ্রিলের তুলনায় এবারের এপ্রিলে আমদানি ব্যয় কমেছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ড. এ বি এম মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে। আবার টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানিতে বেশি অর্থ খরচ হচ্ছে। এতে অনেকেই আমদানিতে অনুৎসাহিত হচ্ছেন। এমনকি শিল্পের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতিও আগের মতো আসছে না। এতে করে একদিকে যেমন প্রমাণিত হয় খাদ্য উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা বেড়েছে তেমনি অন্যদিকে যেহেতু মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে না প্রমাণিত হচ্ছে আমাদের এখানে নতুন করে বিনিয়োগ হচ্ছে না। যদি নতুন করে বিনিয়োগ না হয় তাহলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে না। কর্মসংস্থান না হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। তাই বিষয়টি একদিকে যেমন ইতিবাচক আবার অন্যদিকে এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে।

একই কথা বলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত। তিনি বলেন, সরকারের বড় বড় প্রকল্পের জন্যও আমদানি আগের মতো করতে হচ্ছে না। যেমন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আগের মতো যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হচ্ছে না। এসব কারণে আমদানিতে ব্যয় কমেছে।

তবে পোশাক খাতসহ আরও কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের ধারবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, আমদানি পরিস্থিতি নেতিবাচক হলেও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে রফতানি আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৩৮১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। আগের মাস এপ্রিলে রফতানি আয় হয়েছিল ৩০৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার। গত মার্চ মাসে রপ্তানী থেকে আয় হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ২ লাখ ডলার। আমরা গত মাসের রপ্তানী প্রতিবেদনেও দেখেছি যে পোশাক খাতে রপ্তানী আয় দিন দিন বেড়েই চলছে। এতে করে প্রমাণিত হয় এই খাতে বিনিয়োগ অব্যাহতই রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশের ভেতরের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে চাল ও গম আমদানি কমেছে। এই অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে চাল ও গম আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট বা এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ৬২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ সময়ে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ৫৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জুলাই থেকে এপ্রিল এই ১০ মাসে শিল্পের জন্য ক্যাপিটাল মেশিনারির এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এ সময়ে সার্বিক এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অবশ্য এ সময়ে সার্বিক এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়