দেবদুলাল মুন্না:রাজধানীতে ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রুব বেড়ে যায়।কিন্তু মশা নিবরণী দফতরের কাছ থেকে মশা নিধনে জোরালো সাড়া মিলছে না বলে অভিযোগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।এ দফতরে জনবল সংকটও রয়েছে।
গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।চলতি বছরের এই পর্যন্ত ৩০৮ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার নিশ্চিত করেছেন।এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হচ্ছে।কিন্তু মশক নিধনে খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা মশক নিবারণী দফতরের তৎপরতা কম। এ দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে এ তিন প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। ঢাকা মশক নিবারণী দফতরের তথ্য অনুযায়ী দুভাবে মশক নিধনের কথা জানা যায়। সকালবেলা ড্রেনে ওষুধ ছিটিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস ও সন্ধ্যার আগে ফগ মেশিন দিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে উড়ন্ত মশা নিধন।দফতরের হিসাবরক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা মারার জন্য যে ওষুধ কিনে, সেগুলো এখানে মওজুদ রাখা হয়। ব্যবহার শেষে ড্রামগুলো এখানে রাখা হয়। তারাই পরে খালি ড্রামগুলো সরিয়ে নেয়।’মিরপুরের সোহেল, বাসাবো’র মোখলেস , বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মোহাম্মদ জহির, টিকাটুলির হাসনাতসহ অনেকে জানান, মশার জ¦ালায় তারা অতীষ্ট।ডেঙ্গু ভীতি ভুগছেন।দিনের বেলাও কয়েল জ্বালাতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মশা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটির তেমন কোনো কর্মসূচি বা গবেষণা কার্যক্রম নেই। দফতরের কাঠামো অনুসারে ৩৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে ২৭৭ জন। বর্তমানে প্রায় ১১৯টি পদ শূন্য রয়েছে। কর্মীদের মধ্যে ক্রু, সুপারভাইজার, কয়েকজন ইনসেক্ট কালেক্টর (আইসি) রয়েছে। তাদের অধিকাংশই দফতরের অধীনে কাজ করেন না, দুই সিটি করপোরেশনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। তবে সিটি করপোরেশনের অধীনে কাজ করলেও কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে এ দফতর।
বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব অ. ন. ম ফয়জুল হক দফতরের সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘দফতরের প্রশাসনিক কার্যক্রম, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা দেওয়া ছাড়া, দফতরের কর্মসূচি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।দফতরের কাজ নিয়ে বলতে পারবেন দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।’
আপনার মতামত লিখুন :