নূর মাজিদ : ¯পর্শকাতর স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষী রোবট ও রোবোটিক সিস্টেমের বৈশ্বিক বাজার ২০১৮ সালে ছিলো ২১৩ কোটি ডলারের। যা ২০২৫ সালে ৩৭২ কোটি ডলারের হবে। ২০১৯ সাল থেকে বাৎসরিক ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২৫ সাল নাগাদ বাজারটির এই আকার হবে। চলতি বছর প্রকাশিত এক বাজার গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় জিওন মার্কেট রিসার্চ নামক একটি বাজার গবেষণা ওয়েবসাইট। সূত্র : গে¬াবাল নিউজঅয়্যার।
মূলত দুটি সেগমেন্টে বাজারটি বাড়ছে। প্রথমটি হলো স্থাপনার নিরাপত্তা এবং দ্বিতীয়টি সামরিক কাজে ব্যবহারের সঙ্গে স¤পর্কিত।
নিরাপত্তারক্ষী রোবটেরা চলমান সিসিটিভি মনিটরিংয়ের কাজ এবং একইসঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের মতো টহল দেয়ার দায়িত্বও পালন করে। বিশেষ করে, যেসব স্থানে নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশ সীমিত তেমন সংকীর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানেও এরা স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে। এমনকি রোবটগুলো নিজেদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিং সেন্টারে পাঠাতে পারে। বিশেষ করে, প্রতিরক্ষা শিল্পের নিরাপত্তা বিধানে এরা অগ্রগন্য ভূমিকা রাখে। আবার সামরিক বাহিনিগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্র পর্যবেক্ষণে উন্নত রোবট এবং ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের পর্যবেক্ষণ রোবটের ব্যবহারের ক্ষেত্রও প্রসারিত হচ্ছে। মনুষ্যহীন স্থলযান, বিমান বা নৌ ড্রোন এইক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত এক দশক ধরেই সামরিকখাতের এই চাহিদা তাই পণ্যটির বৈশ্বিক বাজার স¤প্রসারণে ইতিবাচক গতি যুক্ত করেছে।
বর্তমান প্রজন্মের রোবটেরা শুধু পর্যবেক্ষণ করে তাই নয়, বরং যুদ্ধেও অংশ নেয়। যে সকল স্থানে সেনাসদস্য বা মনুষ্যচালিত বিমান পাঠানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বা ব্যয়বহুল সেই সকল স্থানে এই ধরনের যোদ্ধা রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এআই প্রযুক্তি দ্বারা চালিত এসব রোবটের ব্যবহারে বৈজ্ঞানিক মহল এবং মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ বাজারটির আরো বিকাশের পথে একটি নীতিগত বাঁধা। যদিও, সামরিক শিল্প গোষ্ঠীর লবিং এবং যুদ্ধক্ষেত্রের চাহিদা এই উদ্বেগকে পাশ কাটিয়েই অব্যাহত রাখছে বাজার স¤প্রসারণ ।
ভৌগলিকভাবে বৈশ্বিক সিকিউরিটি রোবটের বাজার স¤পরসারণে সবচাইতে বড় অবদান রাখছে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি, সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি এবং সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলা থেকে বিদ্যালয়, নাগরিক স্থাপনার সুরক্ষা দিতেও এখন এসব রোবটের ব্যবহার বেড়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এখন উন্নতমানের রোবট ব্যবহার করছে। এগুলো সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলার পাশাপাশি, দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিক উদ্ধারেও অবদান রাখছে।
আপনার মতামত লিখুন :