সুতীর্থ বড়াল: রাইডার সার্ভিস উবার বাংলাদেশ তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন সংস্কার করেছে।সংস্কারে বলা হয়েছে চালকের মতো যাত্রীদের জন্যও নির্দিষ্ট রেটিং থাকার বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। যদিগ কোনো যাত্রীর রেটিং অনেক কমে যায় তাহলে সে উবারের গাড়ি পাবেন না বলে জানিয়েছে এই রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। পুরানো নিয়ম অনুযায়ী শুধু চালকদেরই রেটিং ভালো রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল, যা করা হয়েছিলো যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে। যাত্রীদের যে রেটিং চালকরা দিচ্ছিল, তা এখন কার্যকারিতা পাবে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান উবার কর্তৃপক্ষ।
“চালকদের একটি নির্দিষ্ট রেটিংয়ে থাকার বাধ্যবাধকতা আগেও ছিল। এখন যাত্রীদের জন্যও একই ব্যবস্থা চালুর কারণে পারস্পরিক দায়িত্ববোধ আরও বৃদ্ধি পাবে।”
তবে কোনো যাত্রীর রেটিং নিম্ন পর্যায়ে গেলে তা বাড়ানোর জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উবার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “একটি সর্বনিম্ন রেটিংয়ে পৌঁছানোর পর মুষ্টিমেয় কিছু যাত্রীদের রেটিং পয়েন্ট বৃদ্ধি করার জন্য কয়েকবার নোটিফিকেশন পাঠানো হবে। এরপরও যাদের রেটিং কম থাকবে, তারা উবার অ্যাপে তাদের প্রবেশাধিকার হারাবেন।”
উবার বাংলাদেশের ‘লিড’ জুলকার কাজী ইসলাম বলেন, “আমরা সবাই এমন একটি কমিউনিটির অন্তর্গত, যা সবাইকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করার শিক্ষা দেয়। সেই চিন্তাধারা অব্যাহত রাখতে আমরা উবারের কমিউনিটি গাইডলাইনটি আপডেট করেছি, যা যাত্রীদের কাছে সেই আচরণগত মান আশা করছে, যেটা উবার চালকদের কাছে আশা করে আসছে।”
“যদিও এই আপডেটের মাধ্যমে বেশিরভাগ যাত্রী প্রভাবিত হবেন না, তবে এটি কিছু নির্দিষ্ট যাত্রীদের মনে করিয়ে দেবে যে উবার অ্যাপ ব্যবহার করার সময় কী ধরনের আচরণ প্রত্যাশিত।”
মোবাইল ফোনের অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা বাংলাদেশে উবারের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। শুরুতে ঢাকায় চালু হলেও এখন আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়েছে তাদের কার্যক্রম। ইতোমধ্যে তারা ১০ বিলিয়ন ট্রিপ সম্পন্ন করেছে বলে তাদের দাবি।
সিএনজি অটোরিকশা চালকদের স্বেচ্ছাচারে অতিষ্ঠ ঢাকাবাসীর সামনে স্বস্তির হয়ে দেখা দিলেও উবারসহ রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর সেবা নিয়েও নানা অভিযোগ উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :