আমিরুল ইসলাম : বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে কিনা জানতে চাইলে বিশ^ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, বাজেটে বরাদ্দ আছে কিন্তু যাদের উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছে তাদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় যেসব ঘাটতি ও ফাঁকফোকর যেগুলো আছে সেগুলো বন্ধ করা না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা হলো স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং সেটার অন্তর্ভুক্তি, বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমানো। স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে তেমন কোনো বড় ঝুঁকি নেই। ব্যাংকিং খাতে সরকার ঋণ নেয়া শুরু করলে ব্যাংকিং খাতে যে বিশৃঙ্খলা আছে সেটা দূর হবে, কিন্তু ব্যক্তি খাতে ঋণের প্রবাহ একটা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সেগুলো প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া অবকাঠামোর খরচগুলো ঠিকমতো না হলে আমরা প্রবৃদ্ধির অবদান পাবো না। মানব উন্নয়ন খাতে, স্বাস্থ্য খাতে ও শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেগুলো যদি ঠিকমতো ব্যয় না হয়, জনগণ সুফল পাবে না। এসব খাতে রবাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। এর ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি পাওয়া যাবে না। কারণ জনগণ চায় শিক্ষা, জনগণ চায় স্বাস্থ্যসেবা। জনগণ চায় সামাজিক সুরক্ষা। বিপদে পড়লে সামাজিক সুরক্ষা খাতের মাধ্যমে জনগণকে সহায়তা করতে হয়। বর্তমানে যেমন কৃষকরা বিপদে আছে। সামাজিক সুরক্ষা খাত যাদের উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে তারা এখান থেকে সুবিধাগুলো পাচ্ছেন কিনা সেটা দেখতে হবে। বাস্তবতা বলছে অন্য কথা।
বিবিএসের ১০১৬-২০১৭-এর জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সামাজিক সুরক্ষা খাতে যারা সুবিধাভোগী তাদের ৪৮ শতাংশের বেশি লোকের সে সুবিধাটা পাওয়ার কথা নয়। যে ক্রাইটেরিয়াতে তাদের দেয়া হয় ওই ক্রাইটেরিয়া তারা মিট করেন। যারা সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন তাদের ৭০ শতাংশ লোক সুবিধাটা পান না। কাজেই কর্মসূচি আছে, কিন্তু যাদের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে তাদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না। এটা ব্যবস্থাপনার সমস্যা। সম্পাদনায়: মাহবুব
আপনার মতামত লিখুন :