নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার দিনদিন বাড়ছেই। স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন জরিপ এমনটাই জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী প্রসাদ শেঠি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের মধ্যে হৃদরোগ হওয়ার প্রধান কারণ জিনগত। গত ১৫ জুন চট্টগ্রামে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দেন দেবী শেঠি।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউরোপে মানুষের বয়স ষাট পেরিয়ে গেলে অর্থাৎ অবসরকালীন সময়ে হৃদরোগ হয়। এ সময় তারা কাজ করেন না আর ভোজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশে মানুষদের তরুণ বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ জিনগত। এখানকার মানুষের জীবনধারা, খাদ্যাভাস, ধূমপান, ডায়াবেটিস হৃদরোগের জন্য দায়ী।’
ভারত ও বাংলাদেশে হৃদরোগীর পরিমান বৃদ্ধির বিষয়ে দেবী শেঠি বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ রোগ হওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে যায়। এর আগে যায় না।শরীরের চেকআপ করায় না। তাদের মতে, সুস্থ থাকার সময় কেন ডাক্তারের কাছে যাবেন!
কিন্তু এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয় জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সুস্থ থাকার সময়ও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সবকিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখতে হবে কতটা সুস্থ রয়েছি আমি।’ যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :