শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১৯ জুন, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যে বিএনপির মরা গাঙে জোয়ার এসেছে!

শাহীন কামাল : ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যে শুধু সংসদই উত্তপ্ত নয়, মাঠে-ঘাটে, হোটেল-রেস্তোরাঁয়, চায়ের আড্ডায় বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরাও বেশ উৎফুল্ল। দীর্ঘদিন পরে যেন রাজনীতির সুবাতাস বইছে বিএনপি কর্মী সমর্থকদের মনে। একধরনের প্রাপ্তির প্রশান্তিতে আগামীর স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে তারা। নেতৃত্বহীন অনেকটা মাঝি ছাড়া নৌকার মতো অজানা গন্তব্যে চলা বিএনপিতে যেন আশার আলো দেখা দিয়েছে। মরা গাঙে জোয়ার এসেছে হতাশায় নিমজ্জিত বিএনপি তথা আওয়ামী লীগ বিরোধী শিবিরে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় মহিলা আসন ৫০ থেকে নির্বাচিত হয়ে অনেকটা নাটকীয় ভাবে গত ১২ জুন চলমান সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রথম দিন সংসদে যোগ দেন এই বিএনপি নেত্রী। এইবার সংসদে যোগদান নিয়ে বিএনপি বেশ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলো। পরবর্তী সময়ে নির্বাচনকালীন প্রধান মিত্র ও নির্বাচনে চালকের আসনে থাকা গণফোরামের সদস্যরা সংসদে যোগদান করায় নৈতিক চাপে পরে বিএনপি। পরবর্তী সময়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে বাধ্য হয়ে দলের অনিবার্য ভাঙন ঠেকাতে সংসদে যোগ দেয় বিএনপি। মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে যোগদান না করানোর কারণ রাজনৈতিক মহলের কাছে এখনো প্রশ্নসূচক। তারা যেহেতু সংসদেই যাচ্ছে তখন এই প্রবীণ ও অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ মানুষকে সাথে নিলে লাভবানই হতো বৈকি।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংসদে যোগ দিয়েই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে কথা কম হয়নি। অনেকটা একপক্ষীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বিশাল বিজয় তথা বিরোধী দলের সামান্য কয়েকটা আসন প্রাপ্তিতে কথা উঠতেই পারে। কিন্তু বিএনপি তো আসলে নির্বাচনের আগেই পরাজিত হয়ে বসেছে। নেতৃত্বহীন বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন ড. কামাল হোসেনের কাছে নিজেদের সপে দিয়েই পরাজয় বরণ শুরু করেছে। নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারের চাপে নেতাকর্মীরা গৃহে অবরুদ্ধ কিংবা পলায়নপর থেকে যে নির্বাচন করেছে তাতে কট্টর বিএনপি সমর্থকও এমন ফলাফল ভেবে নিয়েছিলো। ফলে নির্বাচনের ফলাফল মেনে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কথা বলা রাজনৈতিক বক্তব্য। এক্ষেত্রে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা রাজনৈতিক এই গোলকধাঁধায় সফল হয়েছেন অন্তত তার দলের নেতা কর্মীদের কাছে নিজেকে আশাআকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংসদে যোগ দেয়ার পর সংসদ প্রাণবন্ত হয়েছে। চায়ের টেবিলে মানুষ সংসদ নিয়ে কথা বলে। সামান্য হলেও সংসদে বিএনপির অংশগ্রহণ সরকারি দলকে স্বস্তি দিয়েছে আর বিএনপিকে দিয়েছে নির্ভরতা। কারণ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি একেবারেই নিস্তেজ হয়ে পরেছিল। সংসদ হয়ে পরেছিলো নিরুত্তাপ। দীর্ঘদিন পর বিএনপির অংশগ্রহণ পূর্বেকার সংসদীয় গণতন্ত্রের সুবাস ছড়াচ্ছে দেশে। বিরোধী দল কথা বলতে পারছে না, এ দাবি আর জোড়ালো হবে না।

লেখক : শিক্ষক, সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়