শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০১৯, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ১৯ জুন, ২০১৯, ০২:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার না করলে লাইসেন্স বাতিল ও জেল দেয়া হবে, বললেন ব্যারিস্টার মিলন

কামরুল হাসান নিক্কণ : বাংলাদেশের প্রায় ৯৩% ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে অভিয়োগ রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির। এমন খবর প্রকাশের পর হাইকোর্ট এক মাসের মধ্যে বাজারে থাকা সব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।-বিবিসি বাংলা

এ ধরনের ওষুধ বিক্রেতা, সরবরাহকারী ও সংরক্ষণকারীদের শনাক্ত করার জন্যেও আদালত কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে।

সম্প্রতি ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দেশের অধিকাংশ দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির তথ্য প্রকাশ করেছিলেন।

এরই ভিত্তিতে আদালতে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান মিলন। তিনি বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ১০ই জুন একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল যাতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি তথ্য ফাঁস করেন। যেখানে বলা হয় যে ৯৩% ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ছ'মাস ধরে পরিচালিত এক অনুসন্ধানে তারা এই তথ্য পেয়েছেন।

মাহফুজুর রহমান বলেন, বাজারে যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি না হয় সেটা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব এবং সেজন্য দেশে নানা আইনও রয়েছে।

"সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না হাই কোর্ট এরকম একটি রুল জারি করে একমাসের মধ্যে সারাদেশের বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ যতো ওষুধ আছে সেগুলো জব্দ করে এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছে।"

তিনি আরও জানান, এসব ওষুধ বিক্রির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

মাহফুজুর রহমান বলেন, আদালতের এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করার জন্যে দুটো কর্তৃপক্ষ আছে- ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আইনগতভাবে এটা তাদেরই দায়িত্ব যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বাজারে বিক্রি হতে না পারে।

"এক মাস পরেও যদি বাজারে এধরনের ওষুধ পাওয়া যায় তাহলে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে লাইসেন্স বাতিল করা, জরিমানা এবং কারাদণ্ডও হতে পারে। ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্ট আইন অনুসারেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।"

তিনি জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের প্রতিবেদনটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

"এরকম একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে যখন এধরনের তথ্য আসে তখন তার নিশ্চয়ই একটা ভিত্তি আছে," বলেন মাহফুজুর রহমান।

তবে আদালত ওই রিপোর্ট তাদের কাছে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।

ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যাতে বাজারে বিক্রি না হয় সেজন্যে বাংলাদেশে বেশকিছু আইন রয়েছে।

"ওষুধ যারা উৎপাদন করেন তাদেরও দায়িত্ব মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই সেসব ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া।"

সম্পাদনা: কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়