আসাদুজ্জামান সম্রাট : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে পানি সংকট মোকাবেলাসহ কাঙ্খিত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০। এটি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেবে সরকার, যাতে ব্যয় হবে প্রায় ২৯৭৮ বিলিয়ন টাকা।
মঙ্গলবার এম. আবদুল লতিফের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান তিনি।
নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর আওতায় প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের সব জেলার ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্প এর ২য় পর্যায়ের আওতায় নতুন নতুন খাল অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই কাজ চলমান।
লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ ফারুক বলেন, দেশের বিভিন্ন নদীন ভাঙন থেকে জেলা, উপজেলা, পৌর, শহর, বাজার, হাট এবং ঐতিহাসিক ও জাতীয় জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো রক্ষায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। এ লক্ষ্যে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির তিনটি টেন্সের আওতায় তিনটি প্রধান নদী যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙন রোধকল্পে সর্বমোট ৫৭ কি.মি. নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ ও ৮৯ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ৮৬৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, যা ২০১৪ সালের এপ্রিলে শুরু হয়েছে এবং ২০২০ সালের জুনে সম্পন্ন হবে।
ভূখণ্ড রক্ষার পাশাপাশি দেশের মানচিত্রে সদ্য স্থান পাওয়া লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বিলুপ্ত পাটগ্রাম ছিটমহল এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বিলুপ্ত নাজিরগঞ্জ ও দইখাতা ছিটমহল এলাকায় নদীতীর ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :