আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় মাকে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম সাথী সে এমদাদুল হকের স্ত্রী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ির শয়ন ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘাতক ধর্ষক সামিউল ইসলাম সাগরকে (২২) আটক করে থানা পুলিশ। আটক সাগর উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের চকশ্যামরা গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে।
নিহতের স্বামী এমদাদুল হক নাটোরর একটি ফার্মে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন বলে জানা গেছে। বাড়িতে স্ত্রী সাথী ও ছোটমেয়ে এক সঙ্গে থাকতেন। সোমবার গভীর রাতে মোবাইলফোনের মাধ্যমে স্ত্রী সাথীর মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারেন স্বামী এমদাদুল হক।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, নিহতের ছোটমেয়ে রীমা আক্তারের সঙ্গে ঘাতক সাগরের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। সম্প্রতি সেই সর্ম্পকে টানাপোড়ন শুরু হয়। ঘটনার রাতে সাগর রীমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি চাকু নিয়ে তাদের বাড়িতে যায়। বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে ছাদে উঠে অপেক্ষা করতে থাকে।পরে ছাদ থেকে নেমে রীমার ঘরে যায়। এসময় মা ও মেযে একইঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সাগর ও রীমা কথা বলার সময় মা সাথী জেগে উঠে। তখন হাতে রাখা চাকু দিয়ে সাথীর শরীরের একাধিক আঘাত করে। এতে সাথী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে জবাই করে হত্যা করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিহতের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানায় সাগর।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সম্পদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :