সুজন কৈরী : পুলিশের একজন কর্মকর্তার সহায়তায় নাগেশ্বরীর কুটিপায়ডাঙ্গার ২শ’ পরিবার বিদ্যুত পেয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন নাগেশ্বরীর কুটিপায়ড়াডাঙ্গা গ্রাম বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে অবহেলিত ছিল। ধাপে ধাপে এ গ্রামের উন্নয়ন হলেও বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিলনা। এ জন্য গত ১০ বছর ধরে গ্রামবাসী বিদ্যুতসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও বিদ্যুৎ পায়নি। যার ফলে গ্রামের মানুষজন বিভিন্ন নানা দুর্ভোগ পোহতেন।
বিষয়টি অনুধাবন করে একই গ্রামের মো. তছলিম উদ্দিন এবং তার ভাতিজা ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও পল্লী বিদ্যুতের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের চেষ্টা করেন। এরই প্রেক্ষিতে গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সযোগ দেয়া হয়েছে। ফলে গ্রামটি অন্ধকার থেকে আলোতে রূপান্তরিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রামটিতে বিদ্যুৎ আসায় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মানুষের জীবনযাত্রার মান আরো একধাপ এগিয়ে গেলো। বিদ্যুতের আলোতে গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী যারা আছেন তাদের লেখাপড়ায় অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং মানুষের নানাবিধ সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি হবে। যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামবাসীরা বলেন, সরকার আমাদের বিদ্যুৎ দিয়েছে, আমরা আলোকিত হয়েছি, ভবিষ্যতেও আমরা সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গ্রামবাসী সকলেই সহযোগিতা করবো।
গ্রামের বাসিন্দা মো. রানু বলেন, এ গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যুৎ আসি আসি করেও আসে নাই, গ্রামের কৃতি সন্তান পুলিশ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমের প্রচেষ্টায় বিদ্যুতের আলো দেখতে পেলাম।
উল্লেখ্য যে, মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশপাশি একজন সমাজ কর্মীও। তিনি সমাজসেবী সংগঠন ত্রি মাত্রিক-৩০ বিসিএস অফিসার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সংগঠনটি প্রতিবছর ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, শীতবস্ত্র বিতরণ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ নানামুখী জনকল্যানমূলক কর্মকান্ড পরিচালনাসহ সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য নিজ নিজ গ্রামের উন্নয়নে অবদান রাখতে কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :