তপু সরকার হারুন, শেরপুর প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৪ বছর পর ধর্ষণ মামলায় মিলন মিয়া (৩৬) নামে এক যুবকের কারাদণ্ড দিয়েছে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৭ জুন সোমবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মামলার একমাত্র আসামীর অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে ধর্ষিতা তরুণীর গর্ভে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুর ভরণ-পোষণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের লোকমান হোসেন খোকার ছেলে। তবে দণ্ডিত যুবক মিলন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে স্থানীয় বখাটে মিলন মিয়া। ওই অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৪ মাস ধর্ষণের কারণে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই তরুণী।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে ধর্ষককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে ওই সম্পর্ক ও মেলামেশার কথা অস্বীকার করে। এরপর প্রায় ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থায় একই বছরের ১ জুন ট্রাইব্যুনালে মিলন মিয়াকে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে ওই তরুণী।
২৭ জুন সদর থানায় ওই মামলাটি রেকর্ডের পর ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ তদন্ত শেষ করে ৩১ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জ্যোতিষ মজুমদার। মামলার প্রথম থেকেই আসামী মিলন মিয়া পলাতক থাকায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সংবাদদাতা বাদী-ভিকটিমসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই রায় প্রদান করা হয়।
সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম
আপনার মতামত লিখুন :