লুৎফর রহমান হিমেল : ধানমন্ডির পপুলার হসপিটালের চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দারের বিরুদ্ধে একজন নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আমাদের দেশে ধর্ষণ অহরই হচ্ছে, সেখানে যৌন হয়রানি তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু বিষয়টি আরও মর্মান্তিক হয়ে উঠে যখন দেখি গণমাধ্যমে সংবাদগুলো উপস্থাপন হয় রসালোভাবে, শুধু অনলাইনের হিট বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। যেমন, উপরের ঘটনাটি নিয়ে কিছু নিউজপোর্টাল নিউজ করেছে এভাবে ‘চুমো দিয়ে ইনফেকশন পরীক্ষা করলেন ডাক্তার!’
কেউবা লিখেছে, ‘ব্রণের চিকিৎসায় তরুণীকে চুমু ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিলেন পপুলারের ডাক্তার!’ ভুক্তভোগির দুর্দশাকে পুঁজি করে এভাবে সংবাদ উপস্থাপন করা কোনোভাবেই সুসাংবাদিকতা নয়। চুমো আর যৌন হয়রানি এক নয়। আগে চুমুর সংজ্ঞা জানতে হবে ওই সাংবাদিকদের। একটি মেয়েকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে এটি দিনের আলোর মতোন পরিষ্কার। এটি সুখকর কোনো সংবাদ নয়। যাকে হয়রানি করা হয়েছে, এর মর্ম বেদনা সে জানে আর তার পরিবার জানে। উপরওয়ালা সাংবাদিকদের সেই ভুক্তভোগীদের মর্মবেদনা বুঝার তৌফিক দিন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :