সাবরিন সুলতানা : বন্দর নগরীর চট্টগামের অন্যতম বড় উন্নয়ন প্রকল্প আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার। গেলো ডিসেম্বরে শেষ হয় প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। কিন্তু নির্মাণের সাত মাসেই সামান্য বৃষ্টিতে ফ্লাইওভারের ওপর জমে হাটু পানি। এতে যান চলাচল ব্যাহতের পাশাপাশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চ্যানেল ২৪, ১৬.০০
জনগণের প্রশ্ন উঠেছে স্থাপনাটির নির্মাণ কাজ নিয়ে। যদিও নিয়মিত রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে সাময়িক পানি জমছে বাস্তবায়ন সংস্থায়।
মাত্র ১৯ মিলিমিটারের বৃষ্টি হল শনিবার দুপুরে। সামান্য এ বৃষ্টিতে কেবল চট্টগামের নিচু এলাকায় নয় জলমগ্ন হয়ে পড়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার। মাত্র সাত মাস আগে নির্মাণ শেষে পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয় ৬.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার। এতে সহজ হয় নগরীর মোরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত যান চলাচল। এখন অল্প বৃষ্টি হলেই থইথই পানিতে ডুবে যাচ্ছে ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশ।এতে স্থাপনটির নির্মাণ ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগরবাসী।
নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ফ্লাইওভারে পানি জমাটা কোন ভাবে বাড়তে দেওয়া যাবে না। এটি গ্রহণযোগ্য না, স্ট্রাকচার ডিজাইনের কোন ত্রুটি নেই। মেইনটেনেস ত্রুটি আছে এবং প্রতিষ্ঠানগত ভাবে ফ্লাইওভার রক্ষণা-বেক্ষণ করার মতো অবকাঠামোগত দক্ষ সিডিএম এর নেই।
তবে কোন নির্মাণ ত্রুটি নিয়ে বলে জানান, সিডি এর কর্মকর্তারা তাদের দাবি ফ্লাইওভারে ওপর নানা ময়লা আর্বজনার কারণে। বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশন পাইপ।তাই আটকে যাচ্ছে পানি।
প্রকল্প পরিচালক, মো.মাহাফুজুর রহমান বলেন,এটা ডিজাইনগত কোন ত্রুটি নয়। আমরা যদি ফ্লাইওভারের ছিদ্র গুলো পরিষ্কার রাখতে পারি তাহলে পানি নামার পাইপ দিয়ে পানি সরে যাবে। এভাবে ভোগান্তির সমাধান করতে পারি। বৃষ্টি হবার ১০ মিনিট পরে ফ্লাইওভারে কোন পানি থাকবে না। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানি নামতে সময় লাগবে।
শুধু উপরেই জলমগ্ন হচ্ছে তা নয়। আবার অনেক স্থানে ফ্লাইওভারে নিচ দিয়ে সরাসরি পানি পড়ছে রাস্তায়। এমন পরিস্থিতিতে ফ্লাইওভার নিয়মিত পরিষ্কারের জন্য অন্য কোন সংস্থাকে রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে সিডিএ। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :