আসাদুজ্জামান সম্রাট : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিদেশে বাংলাদেশ বিমানের দুই হাজার ১৮৬টি ট্রাভেল এজেন্ট রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮টি এজেন্টের কাছে সংস্থাটির বকেয়া টাকার পরিমাণ ২০ কোটি ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৯ টাকা। এ টাকা আদায়ে মামলা করা হয়েছে, যা চলমান।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, কলকাতার মেসার্স কুকা ট্রাভেলসের কাছে ২১ লাখ ১০ হাজার ৬৬৯ টাকা, জেদ্দার আল হামরা ট্রাভেলসের কাছে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৯০৮ টাকা, জেদ্দার আলোকলবি ট্রাভেলসের কাছে ৩৮ হাজার ৫৯২ টাকা, রিয়াদের মেসার্স অসফার ট্রাভেলস এন্ড টুরিজমের কাছে নয় কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৫২২ টাকা, লন্ডনের মেসার্স ইউনাইটেড ট্রাভেলসের কাছে দুই কোটি ৭৬ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭ টাকা, লন্ডনের মেসার্স বসুন্ধরার কাছে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৩ টাকা, লন্ডনের মেসার্স নীল আকাশের কাছে ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৯ টাকা, লন্ডনের মেসার্স কুশিয়ারার কাছে তিন কোটি ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ১৫ টাকা,
লন্ডনের মেসার্স কেএমসি ট্রাভেলস লিমিটেডের কাছে ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ৭৩৫ টাকা, লন্ডনের এইচএসি ট্রাভেলসের কাছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৫০৩ টাকা, লন্ডনের মেসার্স এয়ার এক্সপ্রেস ট্রাভেলস এন্ড টুর্সের কাছে ৪১ লাখ ৪২ হাজার ১০৩ টাকা, কুয়েতের ইন্টারনিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাছে ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫১ টাকা, কুয়েতের সালওয়া ট্রাভেলস এন্ড টুরিজমের কাছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৫ টাকা, কুয়েতের আল ফরওয়ানিয়া ট্রাভেলসের কাছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৩ টাকা, কুয়েতের রামসিস ট্রাভেলসের কাছে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৭৫ টাকা, কুয়ালালামপুরের মেসার্স তারা ট্রাভেলসের কাছে ১৭ লাখ ১১ হাজার ৫৪৯ টাকা ও দাম্মামের আল নাসের ট্রাভেলের কাছে পাঁচ কোটি ৪১ লাখ ৫৮৮ টাকা পাওনা রয়েছে।
তিনি সংসদকে জানান, সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর কাছে বকেয়া পাওয়া টাকা আদায়ে স্থানীয়ভাবে মামলা করা হয়েছে, যা চলমান।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :