শরিফুল হাসান : সাংবাদিকদের একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কোন পত্রিকা ও টিভির মালিক কতো টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, আর সে ঋণগুলো পরিশোধ করেছে কিনা, খেলাপি হয়েছেন কিনা, সেই তথ্যগুলো বের করেন।
বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে কেন, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা ব্যাংক থেকে খবর নিয়ে দেখবেন কোন পত্রিকা ও টিভির মালিক কতো টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। আর সে ঋণগুলো পরিশোধ করেছে কিনা? খেলাপি হয়েছেন কিনা? এর হিসাব বের করতে পারলে আমাকে আর প্রশ্নের জবাব দেয়া লাগবে না।
আমি জানি না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার কোন কোন উপদেষ্টা বা নেতাকেও মিন করেছেন কিনা, যারা পত্রিকা ও টিভির মালিক। এক উপদেষ্টার কাছেই যতো বকেয়া বাকি সবার কাছে মিলেও কী তা হবে? জানি না সেই প্রশ্নের উত্তর কে খুঁজবে? আর প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কোনো পত্রিকা বা টিভি কী বলেছে, আমার মালিকদের খেলাপি নেই? বা থাকলে এতো? আর না করলে কেন করেননি?
আমি মনে করি, একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি সাংবাদিক বা মালিকদের এ ধরনের চ্যালেঞ্জ দেন, তিনি নিশ্চয়ই তথ্য জেনেই দেন। তিনি এর মাধ্যমে গোটা গণমাধ্যম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি আসলে বলতে চান, আগে নিজেরা ঠিক হন। তারপর প্রশ্ন করেন। যদি তাই হয়, তাহলে প্রশ্ন হলো, আমরা নিজেরা ঠিক হবো কবে?
তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব বিনয়ের সাথে বলবো, পত্রিকা মালিক হোক বা সাংবাদক সম্পাদক, উপদেষ্টা মন্ত্রী আইন কী সবার জন্য সমান নয়? পত্রিকা টিভি মালিক অন্যায় করলে কী আরেকজনেরটা বৈধ হয়ে যায়? রাষ্ট্র কেন গলায় পাড়া দিয়ে সবার কাছ থেকে এই টাকা আদায় করছে না? রাষ্ট্র বাঁচাতে তো এর কোনো বিকল্প নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :