শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০১৯, ০৪:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৭ জুন, ২০১৯, ০৪:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জনপ্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট বা ফোনের পর ছাড়া পাচ্ছেন অনেকে

বাশার নূরু : লেবাননসহ কয়েকটি দেশ থেকে আসা প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা গত কিছুদিন ধরেই বাড়ি ফেরার পথে ঢাকায় এসে আটকা পড়ছেন বিমানবন্দরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, নানা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ এবং শেষ পর্যন্ত আগতদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট কিংবা ফোনের পর বিমানবন্দর ছাড়ার অনুমতি মিলছে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছ থেকে। খবর বিবিসি

প্রবাসীদের কয়েকজন বলছেন, নিজের দেশে এসে এভাবে দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে আটকে থাকতে হবে বা হেনস্থা হতে হবে এটি তারা কল্পনাও করেননি। এদেরই একজন ব্রা²ণবাড়িয়ার আখাউড়ার জান্নাত বেগম। লেবানন থেকে বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে প্রায় ৩৫ জনের একটি দলের সাথে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। শ্রমিক হিসেবে গিয়ে দালাল আর প্রতারকের কারণে নিজের পাসপোর্ট আর পাননি সেখানে গিয়ে। দু'বছর ওই অবস্থায় থাকতে পারলেও শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেনর, ‘কাগজ নিয়া (ট্রাভেল পাস) ফিরছি। কোনো জায়গায় কোনো ঝামেলা হইলো না। বি

পদে পড়লাম নিজের দেশে আইসা। পরে আমার ভাই চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়া ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ছুটায় আনছে আমারে"। তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে নামার পরপরই তাদের দলটিকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা। আমরা নাকি রোহিঙ্গা। কত সালে গেছি। কেনো গেছি। এমন সব উল্টাপাল্টা কথা। এতো যন্ত্রণা লেবানন, দুবাই এয়ারপোর্টেও দেয় নাই। রাত তিনটায় নাইমা পরদিন রাত নয়টায় ছাড়া পাইছি।
পুলিশ বলছে সিরিয়ায় আইএসের সাথে যোগ দেয়া বাংলাদেশীদের অনেকে দেশে ফিরার চেষ্টা করছেন। দেশে ফিরে আসা এমন অনেকে প্রতিদিনই আসেন যাদের কার্যত কোনো পাসপোর্ট নেই। কারণ দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার পর তাদেরকে দালালরা আর পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি। ফলে তারা সেখানে কাজ করতে পেরেছেন কিন্তু একই মালিকের কাজ করতে হয়েছে।

দ‚তাবাসের ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেও গত কিছুদিন ধরে বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি কখনো কখনো একদিনও প্রবাসী কর্মীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান। তিনি বলেন, সা¤প্রতিক সময় নিরাপত্তা তল্লাশি বা নিরাপত্তা জোরদারের নামে বিমানবন্দরের ঢুকতে বিদেশগামীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আর বিদেশ ফেরতরা এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়। এতে করে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পডছেন প্রবাসী নারী কর্মীরা। দীর্ঘ ভ্রমণের পর গোসল খাবার ছাড়া দীর্ঘ সময় অপেক্ষা কঠিন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, যারা ফেরত আসছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে একটু বিমানবন্দর থেকে ছাড় দেযার ক্ষেত্রে একটু বিলম্ব হচ্ছে। যেসব দেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে সেখান থেকে যারা আসছে আমরা দেখছি তারা আর কোনো দেশে গিয়েছিলো কি-না। এ কারণেই একটু বিলম্ব হচ্ছে।

কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বলছেন, তারা একটি তালিকা ইমিগ্রেশন বিভাগে দিয়েছে। যদিও ওই তালিকার অনেকেই সিরিয়া বা ইরাকে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা গেছেন বলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন। সিরিয়া ফেরত একজন সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডেও নিয়েছিলো ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। ওই ব্যক্তি চলতি বছরের ফের্রুয়ারিতে বাংলাদেশে প্রবেশের পর জঙ্গি তৎপরতার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশ জানিযছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভ‚ত এরকম অন্তত ৫০জন বিভিন্ন দেশ থেকে গিয়ে সিরিয়া আর ইরাকে আইএসের সঙ্গে জড়িত হয়েছিল, যাদের ফরেন টেরোরিস্ট ফাইটার বলে বর্ণনা করছেন কর্মকর্তারা।

ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন এসব কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ বিশেষ করে সিরিয়া আশেপাশের দেশগুলো থেকে আসা প্রবাসীদের বিষয়ে এজন্যই বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়