নূর মাজিদ : গত মে মাসের শেষদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফেসবুক, গগল এবং টুইটারের মতো বৃহৎ প্রযুক্তি কো¤পানিগুলো অপপ্রচার রোধে যথেষ্ট সতর্ক অবস্থান নেয়। তবে এতেও সন্তুষ্ট নয় ইইউ। তারা কো¤পানিগুলোর প্রতি মিথ্যে প্রচারণা রোধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে,
রাশিয়ার সঙ্গে সা¤প্রতিক সামরিক এবং কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট হুমকির প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি কো¤পানিগুলোকে আরো বেশি কাজ করতে হবে বলে, দাবী ইইউ’য়ের। সূত্র : সিএনবিসি।
এই বিষয়ে স¤প্রতি একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে ইইউ। ওই প্রতিবেদনে গতমাসে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সংঘবদ্ধ কিছু চক্রের দ্বারা পরিচালিত সাইবার হামলার চেষ্টার কথা বলা হয়। এই চক্রগুলো বট এবং ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। ইইউ’য়ের ধারণা এর পেছনে রুশ হ্যাকারদের হাত থাকতে পারে। প্রতিবেদনে আরো দাবী করা হয়, রাশিয়ার হ্যাকার চক্রের স¤পৃক্ততার প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। এরা ভোটারদের প্রভাবিত করে, ইইউ নির্বাচনের ফলাফল রাশিয়ার পক্ষে আনার জন্যে কাজ করছিলো।
গত শনিবার ইইউ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক শক্তি গতমাসের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। যাদের মধ্যে রাশিয়ান হ্যাকার গোষ্ঠীও রয়েছে। অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম এবং রাষ্ট্রগুলো সাইবার নিরপত্তা নিয়ে সতর্ক হলেও এরা সেই ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়ার উপায় জানে। তা গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ রক্ষায় সামাজিক গণমাধ্যমের সাইবার নিরাপত্তা আরো কঠোর হতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :