নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান বিশ্বকাপে ‘একাদশে থাকার যোগ্য নন মাশরাফি’ ভারতের সাবেক পেসার অজিত আগারকারের এই মন্তব্যের পর বাংলাদেশের কিছু মানুষও মেতেছেন টাইগার দলপতির সমালোচনায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে যার কিছুটা চোখে পড়েছে তামিম ইকবালের। এ ক্রিকেটারের অনুরোধ কিছু লেখা বা বলার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য মাশরাফি বিন মুর্তজার অবদানের কথা একটু স্মরণ করতে।
বিশ্বকাপে শুরুর তিন ম্যাচে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি তামিম নিজেও। সমালোচনা থেকে দূরে নয় এ ওপেনারও। নিজের কথা না ভাবলেও বিশ্বকাপের মাঝপথে মাশরাফিকে নিয়ে সমালোচনায় মর্মাহত তামিম। টন্টনের সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব মাঠে ব্যাটিং অনুশীলনের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে অনেক কথাই বললেন মাশরাফী প্রসঙ্গে।
তামিম বলেন, ‘কথাটা বলে কারা সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কারা কথা বলছে? আমি আমার কথা বাদ দেই। আমি মাশরাফি ভাইয়ের কথাই বলি। আমি কোনো একটা সাক্ষাৎকারে বলছিলাম, ধরেন যারা এই কথাটা লিখছে বা যারা এই আলোচনা করছে তারা যদি ওই লেখাটা লেখার আগে বা ওই কথাটা বলার আগে দুইটা মিনিট যদি একটু চিন্তা করে যে, আমি কার ব্যাপারে বলছি। সে কত কিছুই না করেছে শেষ ১৫-১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন ধরেন সে আনফিট! যদি আনফিটের কথা বলতে হয় সে দশ বছর ধরেই আনফিট। তার দুইটা হাঁটু তো কোনো সময়ই ভালো ছিল না। তখন কিন্তু আমরা সেটা আবেগ দিয়ে দেখেছি। এখন হয়তবা পারফরম্যান্সে একটু উনিশ-বিশ হচ্ছে, আমরা এটাকে অনেক বড় করে দেখছি। এমন একজন ব্যক্তির ব্যাপারে আমরা বলছি যে, ওই ব্যক্তির হাত ধরেই আজ কিন্তু আমাদের এখানে আসা। দল হিসেবে তো বটেই আমার নিজেরও।’
তামিমের ভাষ্য, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক মনে হয় আমার কাছে। কারণ উনি যা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশে ক্রিকেটকে এখানে আনার জন্য। উনার ব্যাপারে এইভাবে মন্তব্য করা বা এভাবে আলোচনা করা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক। সে অনেক বেশি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। সে যা দিচ্ছে! কিছু কিছু বিদেশি মানুষ বলেছে আমি শুনেছি। তো উনারা নিজেদের জীবনে কি করেছেন? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল এটা। ওনারা নিজেদের জীবনে কী করেছেন যে একটা মানুষকে নিয়ে এভাবে বলা! দেশের বাইরের মানুষ কী বলছেন এটা নিয়ে ভাবছি না। সবাই মতামত দিতে পারেন। কিন্তু দেশের মানুষের এটা বোঝা উচিত আমি যখন মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্যাপারে একটা কথা বলছি তিনি দেশের জন্য কী করেছেন।’
আপনার মতামত লিখুন :