সমীরণ রায়: প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক লুট বন্ধে বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেই বললো ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

শনিবার জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার গত কয়েক বছরের মতো ক্রমবর্ধমান এবং বিদায়ী বছরের সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার করুণ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মাত্র। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পাশাপাশি বিদেশি ও আভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণের লজ্জা ঢাকতে গিয়ে পরের বছর আরও বড় আকারের বাজেট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আরও বড় আকারের ঘাটতি এবং আরও বড় দেশি-বিদেশি ঋণের ফাঁদে দেশ আটকে যাচ্ছে। বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রত্যক্ষ আয়কর বাড়ানো, কর ফাঁকি রোধ, কালো টাকা উদ্ধার ও ব্যাংক কেলেঙ্কারি প্রতিরোধের কোনো বাস্তব প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকৌশল এ বাজেটে নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ার পরিসংখ্যান দেখিয়ে আত্মতুষ্টি আছে। কিন্তু এ প্রবৃদ্ধি যে বেকারদের কাজ সৃষ্টি করছে না। উৎপাদশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে না। বরং বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য বেড়েই চলেছে, তার জন্য উদ্বেগটুকুও নেই, সমাধানের পদক্ষেপ তো দূরের কথা। বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবাহ অব্যাহত রাখার কথা বলে বড় বড় ঋণখেলাপি ও কালো টাকার মালিকদের এক চোখা সুবিধা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা জোগানো প্রান্তিক কৃষকের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা নেই। শিল্প অর্থনীতির নিরাপত্তা জোগানদার শ্রমিকের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কোনো নতুন পদক্ষেপ নেই।

এতে আরও বলা হয়, হতদরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় ও আকার কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু দেশের উন্নয়ন পরিসংখ্যানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রান্তিক মানুষদের জন্য এ পদক্ষেপ পর্বতের মূষিক প্রসবের মতোই। গত বাজেটের তুলনায় শিক্ষা খাতে বাজেট বেড়েছে সত্য। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষার জন্য তা খুবই অপ্রতুল। আর স্বাস্থ্য খাত বরাবরের মতই বঞ্চিত। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে কিভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হবে তা দেশবাসীর কাছে বোধগম্য নয়।