খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল প্রতিনিধি : গত দুইদিন (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছে খুন, সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে মৃত্যু ও আত্মহত্যা।
প্রশাসন ও শেবাচিম হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভুতেরদিয়া গ্রামে শুক্রবার সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মুজাহার হাওলাদার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজনে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একইদিন বেলা এগারোটার দিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ কৈখালী গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে জিসান (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত জিসান ওই গ্রামের মাসুদ হাওলাদারের একমাত্র পুত্র।
ওইদিন দুপুরে পিরোজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমাম ও ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
জেলার নাজিরপুরে বেপরোয়াগতির সেবা গ্রীন লাইন কোম্পানির একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে আল-আমিন শেখ (২৭) নামের এক যাত্রী নিহত হয়। সে সদর উপজেলার ভৈরমপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের পুত্র ও স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন। একইদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রলীগের ইয়ার কমিটির সভাপতি এবং উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের আবু জাফর সালেহ বিন হেলালীর পুত্র আব্দুল্লাহ আল সাকিব নিহত হয়েছেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনার বেতাগীতে তনু আক্তার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী গলার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একইদিন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর গ্রামে আব্দুর রশিদ খানের কন্যা স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (১১) এবং একইবাড়ির মাসুদ খানের পুত্র সাইমুন (৩) মারা গেছে।
ওইদিন বরিশালের বাবুগঞ্জের ভূতেরদিয়া গ্রামে খাদিজা আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ওইদিন সকালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার লোহালিয়া নদীর ধাউরাভাঙা চর থেকে পুলিশ একজন নারী ও একজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে। তাদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে ওইদিন ভোর রাতে কুয়াকাটার গঙ্গামতী পয়েন্ট থেকে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ।
একইদিন বেলা এগারোটার দিকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পথচারী মনিরুল ইসলাম গাজী (৫৮) ও চালক আব্দুল্লাহ আল সাকিব (১৭) নিহত হয়েছেন। ওইদিন ভোররাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামে নিজ বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে সৎ মেয়ে ও তার মাকে পুরিয়ে হত্যা চেষ্টা করে বেল্লাল হোসেন নামের এক যুবক। এতে ঘটনাস্থলেই মেয়ে সখিনা আক্তারের (১০) মৃত্যু হয়। স্ত্রী শাজেনুর বেগমকে (৩০) গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরেই বেল্লাল হোসেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সম্পাদনা : কামরুল হাসান নিক্কণ
আপনার মতামত লিখুন :