ইউসুফ আলী বাচ্চু: জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ২০১৯-২০২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব হয়েছে। তবে সংশোধনীতে হত দরিদ্র, তরুণ ও বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বরাদ্দ যেন কাটছাট না হয়। তিনি বলেন, শেয়ার বাজারে শৃংখলা আনতে বিদ্যমান আইন যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং কৃষিতে প্রনোদনা এবং ভতূর্কি আরো বাড়াতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। শনিবার দুপুরে বনানী জাতীয় পার্টির অফিসে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেন, প্রবাসীদের প্রনোদনা দেয়ায় রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পারে। কৃষকদের লাভবান করতে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে এলে হত দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তিনি বাজেটকে ব্যবসা বান্ধব করতে আহবান জানান। কর্মসংস্থান এবং দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে ড্রাইভিং শিখাতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টির মাহসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
লিখত বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, ২০১৯-’২০ বাজেট বক্তব্যের এক পর্যায়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রী অসুস্থ্যতা জনিত কারণে বাজেট পেশ করা থেকে বিরত থাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাজেটের বাকি অংশ মহান সংসদে পেশ করায় তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাৎক্ষণিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাজেট পাঠ করে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন।
কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে গণমানুষের জন্যই বাজেট প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯-২০২০ সালের প্রস্তাবিত ৫,২৩,১৯০ কোটি টাকার বাজেট এ যাবত কালের সর্ববৃহত বাজেট। আকৃতি বেশ বড়। বড় অংকের অর্থ রাজস্ব খাতে আয় করতে হবে। আবার নির্ধারিত খাতে বড় ধরনের ব্যয়ও করতে হবে। দুটিই বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের জন্য।
জিএম কাদের বলেন, আয়ের প্রশ্নে আমরা চাই, অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন থেকে বেশী হারে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা ও স্বল্প আয়ের মানুষের ঘাড়ে কম দায় চাপানো হোক। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ কর যেমন আয়কর থেকে যতদুর সম্ভব রাজস্ব আদায় হোক ও পরোক্ষ কর (যেমন আমদানী শুল্ক ইত্যাদি) থেকে কম অংশ আয়ের ব্যবস্থা করা হোক।
আপনার মতামত লিখুন :