শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০১৯, ০৭:১৬ সকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০১৯, ০৭:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদযাত্রায় ১৩ দিনে ২৯৮ জন নিহত : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

আসিফ হাসান কাজল: এবারের ঈদ যাত্রা শুরুর দিন ৩০ মে থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা ১১ জুন পর্যন্ত বিগত ১৩ দিনের যাতায়াত পর্যবেক্ষণে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিত ভাবে ২৫৬ টি দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত এবং ৮৬০ জন আহত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার ১৫ জুন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত 'ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৯' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিগত ঈদের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা ১৯.৩৯ শতাংশ, নিহত ২৪.১৭ শতাংশ ও আহত ৪৮.৯৯ শতাংশ কমেছে। তারপরও ঈদুল ফিতরে যাতায়াতে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিতভাবে ২৫৬ টি দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত ও ৮৬০ জন আহত হয়েছে।

এবছর মোট সংঘটিত ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সাথে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। যেখানে মোট নিহতের ৩০ শতাংশ এবং মোট আহতের ১০ শতাংশ। অন্যদিকে পথচারীকে গাড়ী চাপা দেয়ার ঘটনা প্রায় ৪৫ শতাংশ ঘটেছে। আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে এই দুর্ঘটনার প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৭.৪৩ শতাংশ বাস, ২৩.৮৯ শতাংশ মোটরসাইকেল ২৩.৫৯ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান, লরি, ৮.২৫ শতাংশ কার-মাইক্রো, ৭.৬৬ শতাংশ অটোরিক্সা, ৪.৪২ শতাংশ নছিমন-করিমন ও ৪.৭১ শতাংশ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান। মৃত্যুর সংখ্যা ২৯৮ জন বা ৩৬০ জন, সেটা কোনো বড় বিষয় না। মানুষের জন্য সৃষ্ট অব্যবস্থাপনার কারণেই এই দূর্ঘটনা গুলো ঘটছে। এটাকে কমানোর জন্য, রোধ করার জন্য আপনাদের সামনে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ প্রমুখ ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়