নুর নাহার : ঈদুল আযহার বাকি এখনো দুই মাস। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বেড়ে গেছে মসলার দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচ, দারুচিনি, ও শুকনো মরিচের দাম। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আর আর্ন্তজাতিক বাজারকে দোষের দায় এড়ানোর চেষ্টায় আমদানিকারকরা। নিউজ২৪-৯.০০
বন্দর নগরির উন্নতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েই চলছে মসলার দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদুল আযহার আগে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মসলার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫-১১শ টাকা পর্যন্ত। বাজারে মসলার সংকট না থাকলেও এমন পরিস্থিতির জন্য আমদানিকারকদের দুষছেন পাইকাররা।
মসলা পাইকাররা বলেন, আমদানিকারকরা বলছে এখন খরচ বেশি পড়ছে তাই একটু দামও বাড়বে। মূলত কোথায় কিভাবে দাম বাড়ছে সেটা আমদানিকারকরাই বলতে পারবে।
মসলা আমদানিকারক সোলাইমান আলম বাদশা বলেন, যেহেতু এটি আর্ন্তজাতিক বাজারের একটি অংশ। তাই সেখানে পণ্যের দাম বেড়ে গেলে এখানেও বেড়ে যায়। কমলে এখানেও কমে।
নিত্যপণ্যের বাজার দরের এমন ঊর্ধমুখী লাগাম টানতে মাঠে নামছে প্রশাসন। ঈদের আগে পর্যন্ত অভিযান চালানোর কথা জানান কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বলেন, কিছু মসলার দাম বেড়েছে । কিছু শ্রেণির লোক চাচ্ছে যে, ভেজাল তৈরি করতে। আমাদের অভিযান চালু রয়েছে। আরো বেশি পরিমাণে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছি।
খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি এলাচ ২২৫০ টাকা, দারুচিনি ৩০০, জিরা ৩০০, তেজপাতা ১০০, সাদা গোল মরিচ ৭০০ টাকা, কালো গোল মরিচ ৫০০ টাকা, জায়ফল ৪৫০ টাকা,কিসমিস ৩০০-৩৭০ টাকা, আলু বোখরা ৩৩০, পোস্তদানা ৯৮০- ১১৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলেন, মসলার দাম এখন অনেক উপরে। এখন তো সব জিনিসের দাম বেড়ে যাবে তাই এরা আগে থেকেই এর প্রভাব পাইকারি বাজারে পড়েছে কিনা জানি না কবে খুচরা বাজারে পড়েছে। বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থার দরকার আছে। যদি সরকার এটি করে তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য খুবই ভালো হয়। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :