আসিফ হাসান কাজল : এটি জনগণের বাজেট নয়। এটি একটি অদূরদর্শী ও দুর্বল ভাবে প্রণীত বাজেট। যেখানে দেশের প্রকৃত সমস্যা মোকাবেলার কোন চেষ্টা নেই। বর্তমানে দেশকে যারা লুটেপুটে খাচ্ছে এবং যারা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করছে বাজেটটি তাদের সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া।
শনিবার ১৫ ই জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে গণ ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান বাজেটটি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখান করে তিনি একথা বলেন। বাজেট কেবল সরকারের পরবর্তী বছরে আয় ব্যায়ের হিসাব নয়। এটি আসন্ন বছরগুলোতে সরকারের নীতি কৌশল কি হবে তারও একটি গুরুত্বপ‚র্ণ দলিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন এ বাজেট দুটি বিবেচনায় হতাশাজনক। একটি হলো এটি রাজস্ব ঋণের সঠিক প্রাক্কলন প্রদানে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজেট ঘাটতির বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। অপরটি হলো এবছর বিগত বছর থেকে ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির ফলে আর্থিক খাতের সার্বিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট আসন্ন সংকট উদ্ভ‚ত ঝুঁকি সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রদর্শন করা হয়েছে।
এছাড়াও এ বাজেটে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বৈষম্য দারিদ্র ও বেকারত্ব এর মতো গুরুত্বপ‚র্ণ সমস্যা মোকাবেলায় কোন উদ্যোগ নেই বাজেট টি দেশের জনগণের স্বার্থ নিয়ে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারী ব্যাংকের অবস্থা সবচেয়ে করুণ উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষকদের প্রতি দয়ামায়া কম, ঋণ খেলাপীদের প্রতি দরদ বেশী। জনগণের পকেট থেকে পয়সা নিয়ে ঋণখেলাপীদের পকেট ভর্তি করার জোর আপত্তি জানান তিনি। বাজেটে কৃষিখাতে ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, যেখানে নেপালের মত দেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির ৫ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ২ শতাংশ।
এই বাজেট জনগণের সামনে ধীরে ধীরে পরিস্কার হয়ে যাবে এটাও সত্য একটি অগণতান্ত্রিক সরকারের কাছ থেকে এর চেয়ে ভাল বাজেট আশা করাও যায়না। গত ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে ৩ হাজার কোটি টাকা নষ্ট করা হয়েছে সরকারের। এই টাকায় দেশে ৩০০ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরী করা যেত, কে তাদের এই ক্ষমতা দিয়েছে এই প্রশ্ন করেন তিনি। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূলবক্তা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ড. রেজা কিবরিয়া, সুব্রত চৌধুরী, আবু সাইদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :