দেবদুলাল মুন্না: সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এজন্য তাদের বাংলা বইয়ের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চ্যাপ্টার থেকে পরীক্ষায় ২০ নম্বর বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থীরা স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা, তথ্য, যুদ্ধের বিবরণ, শহীদদের তালিকা, বধ্যভূমির তালিকা ইত্যাদি তৈরি করবে।নেবে মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য। এরপর তৈরি করবে ভিডিও ডকুমেন্টারি। শিক্ষকরা এটির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়ন (স্কুল বেজড অ্যাসেসমেন্ট-এসবিএ) করবেন। এর অংশ হিসেবে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহ করবে।পুরো এই কার্যক্রমে সহায়তা দেবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তাদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এরই মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। শিশু শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ও পুরস্কার পাওয়া শ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারিগুলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংরক্ষণ করবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীরা উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এসব ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করবে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এসব ডকুমেন্টারির তথ্য যাচাই-বাছাই করবে তারা। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতা, শিক্ষক, উপজেলার বিশিষ্টজনদের নিয়ে গঠিত বাছাই কমিটি সেরা ডকুমেন্টারিগুলো বাছাই করে জেলা পর্যায়ে পাঠাবেন। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একই ধরনের কমিটি সেগুলো বিচার করে বিভাগীয় সদরে পাঠাবেন। জাতীয় পর্যায়ে সেগুলোর বিচার শেষে শ্রেষ্ঠ তিনটি ডকুমেন্টারিকে পুরস্কৃত করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, গতানুগতিক শিক্ষা দিয়ে আর সামনে এগোনো যাবে না।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনেই বড়ো হতে হবে ।এজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এমএ আউয়াল সিদ্দিকী বলেন, এর ফলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস চির জাগরূক থাকবে। এতে শিক্ষার্থীরা আত্মপরিচয়ের গৌরব অনুভব করবে।জঙ্গীবাদের পতন হবে।
আপনার মতামত লিখুন :