পীর হাবিবুর রহমান : দিনে দিনে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি অনেক। গণমাধ্যমে কাজ করার যে আনন্দ উত্তেজনা একসময় টগবগ করতো তা নির্বাসনে। দলকানা-দলকানিদের আস্ফালন এখন চারদিকে। একসময়ের চাটুকাররাও এদের কাছে লজ্জিত পরাজিত। সমাজে কাউকে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় আঁকড়ে ধরে চলবো, সেই পথও ছোট হয়ে এসেছে। সকালের মানুষ বিকালে চেনা যায় না। সস্তা নীতিহীন স্বার্থপরদের দৌরাত্ম্য সমাজের সবখানে। অতি নিকটে! লাজ শরমহীন। চোখের পর্দাও নেই! বিশ্বাস-আস্থার সংকট চরমে। সকালে যাকে জঘন্য গালিগালাজ বিকালেই তাকে স্বার্থে বাপ ডাকছে। সারাক্ষণ যাকে নোংরা মানুষ বলছে, সামান্য স্বার্থে গদগদ হয়ে নির্লজ্জের মতো পারলে পা ধরে বসে! যে মানুষ নিজের মর্যাদা-সম্মান রাখতে জানে না, স্বার্থে ছেঁচড়ামি করে, সস্তামি করে সে মানুষের আত্মমর্যাদাবোধ বুঝবে কি করে! সস্তা মন নিয়ে সস্তাদের সমাজে বেড়ে ওঠা মানুষ মুখোশ যাই পরুক আসলেই চরিত্রে সস্তা।
সমাজে আপন-পর চেনা বড় কঠিন। নীতিবান আত্মঅহঙ্কারী আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ আজকাল পাওয়া বড় কঠিন। এই সমাজে বেঁচে থাকা, চলাফেরা, আস্থা রাখা বড় বেশি অসাধ্য ব্যাপার। সস্তা নষ্ট ছেঁচড়া চারদিকে দেখি, আমি মানুষ খুঁজে পাই না। ভরসা-বিশ্বাস করার মতো মানুষ! প্রতারিত সসমাজে, একাকীত্ব মাঝে মাঝে এমন করে মনে হয় সব ছেড়ে বহু দূরে, অনেক দূরে চলে যাই! আর যাই হোক, যেভাবেই বেঁচে থাকি সস্তা নীতি ধর্মহীন মানুষের কুৎসিত মুখ দেখতে হবে না! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :