রাশেদ খান : কলেজে থাকতে একদিন বায়োলজি ক্লাসে প্রবেশ করে খালেকুজ্জামান স্যার বললেন, তোমরা সবাই বইয়ের সব পেজ পড়তে পারো ইচ্ছা করলে। কিন্তু ৫৬ নম্বর পেজটা পড়ার দরকার নেই। পরের দিন স্যার আবার ক্লাসে আসলেন, এসে জিজ্ঞেস করলেন আচ্ছা সৎসাহস নিয়ে বলো তো গতকাল বারণ করবার পরও কারা কারা বইয়ের ৫৬ নম্বর পেজটা খুলে পড়েছো? অবাক হয়ে খেয়াল করলাম আমিসহ ক্লাসের সবাই হাত তুলে বসে আছে। স্যার তখন হেসে বললেন এটা হচ্ছে হিউম্যান ন্যাচার। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সবসময় বেশি। নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আগে মতিউর রহমান রেন্টু রচিত ‘আমার ফাঁসি চাই’ বইটির নাম আমি জানতাম না।
যখন জানলাম বইটিতে অনেক অজানা কিছুকে জানানো হয়েছে, তখন বইটির ব্যাপারে আগ্রহ বেড়ে যায় এবং এর পিডিএফ সংগ্রহ করে পড়া শেষ করি। সরকার ব্যান্ড করেছে ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইটিকে। বইটি প্রকাশের পর যতো মানুষ এই বইয়ের ব্যাপারে আগ্রহী ছিলো তার চেয়ে বেশি মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর। আমার কাছেই প্রায় ৫০ জনের মতো ম্যাসেজ করেছে বইটির পিডিএফ ফাইলের লিংক চেয়ে। ব্যান্ড করে বা লেখককে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করে কোনোদিন ইতিহাসের সত্যকে বন্দি করা যায় না। ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে ইতিহাস তার নিজের তাগিদে সত্যকে খুঁজে নেবে। ইতিহাসের আরো একটি শিক্ষা হচ্ছে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ সবসময় বেশি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :