নূরুজ্জামান লাবু : নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে অপারগতা প্রকাশ করে নোয়াব যে বিবৃতি দিয়েছে তার এক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘অষ্টম মজুরি বোর্ড অনুযায়ী গ্রেড-৩-এ যোগদানকারী একজন রিপোর্টার বর্তমান সরকারি বেতন স্কেলের অধীনে সিভিল ক্যাডারের গ্রেড-৯-এ যোগদানকারী ‘সেরা’ ছাত্রদের চেয়ে বেশি বেতন পান।’ মেধার পরিমাপ কি তাহলে শুধু সিভিল ক্যাডার? এর বাইরে যারা নানা রকম সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িত তারা কি মেধাবী নন? সাংবাদিকতায় যারা আছেন বা আসবেন তারা কি মেধাবী নন? এমন উদাহরণ তো রয়েছে বিসিএস না দিয়ে বহু তরুণ সাংবাদিকতাকে ভালোবেসে এই পেশায় এসেছেন। হ্যাঁ, সাংবাদিকতা ছেড়েও গিয়েছেন অনেকে।

কারণ এই পেশায় চাকরির নিশ্চয়তা নেই। স্কিল্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য সমন্বিত কোনো উদ্যোগ নেই। সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নেই, বিশেষ করে রিপোর্টারদের। পেশাটা আর্থিক ও শারীরিকভাবেও ঝুঁকিপূর্ণ। তো ঝুঁকিপূর্ণ এই পেশার সঙ্গে অন্যান্য পেশার তুলনা করে বেতন নির্ধারণ করতে চান কেন? গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করেনই তো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য। তাহলে এতো কথা কেন? বেতন বাড়াতে এতো কৃপণতা কেন? আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু ইগনোর আর অপমান করতে পারেন না। সর্বোপরি অভিভাবক হয়ে এমন হীনমানসিকতার বহিঃপ্রকাশ সত্যিই লজ্জাকর। এতে যে আপনাদেরও সম্মান যাচ্ছে তা কি টের পাচ্ছেন মাননীয় কর্তৃপক্ষ? ফেসবুক থেকে