সাজিয়া আক্তার : দেশীয় মাছের দাম নাগালের বাইরে হওয়ায় চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটের ব্যবসায়ীরা এখন ঝুঁকছেন বিদেশি মাছের দিকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সমুদ্রে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে কেজিতে ১শ' থেকে ৩শ' টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছের দাম। এ অবস্থায় চাহিদা পূরণ করতে না পেরে চীন, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে মাছ আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সময় টিভি, ১৭.০০
সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চট্টগ্রামের ফিশারীঘাটে বেড়ে গেছে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছের দাম। প্রতি কেজি চিংড়ি মাছ মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। আর ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি কোরাল বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। আর রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকার।
সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে মিঠে পানির মাছের উপরও। প্রতি কেজি রুই মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। কাতল ২৫০ থেকে ৩০০, মৃগেল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশীয় মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন ঝুঁকছেন চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মাছের উপর। ফলে ট্যাক্স ও অন্যান্য খরচ নিয়ে মাছের দাম বেড়ে যায়।
চট্টগ্রামের এই ফিশারিঘাটে খুলনা, সাতক্ষীরা, টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফিশিং বোট এবং ট্রলারে করে মাছ আসে। পরে তা সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সম্পাদনা : এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :