ইউসুফ আলী বাচ্চু : ডিজি এইচ এস এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড .আবুল কালাম আযাদ বলেছেন, রোহিঙ্গা নারীকে জরায়ু মুখ ক্যান্সার স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের নারীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বৃহস্পতিবার ডিজি এইচ এস কার্যালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারীদের জরায়ু মুখ ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রকল্পের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ডিজি এইচ এস এর উপ-মহাপরিচালক প্রফেসর নাসিমা সুলতানা বলেন, যদি শরুতেই জরায়ু মুখ ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া যায় তাহলে এই রোগে আর কেহ মারা যাবে না। এটাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য আর এ কারণেই আমরা দেখতে চেয়েছি রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেমন আছে। কক্সবাজারে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ছাড়াও এদেশীয় মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। এ কাজে ৬০ জনকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক, মিডওয়াইফ রয়েছে। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর এ কাজে এনএফপিএ সহযোগীতা করে যাচ্ছে। প্রকল্পটি উপস্থাপন করেন মেরী স্টোপস বাংলাদেশের ম্যানেজার, কোয়ালিটি এ্যরেন্স ডা , সামিয়া মাহমুদ ।
মেরী স্টোপস বাংলাদেশের উপস্থাপনায় বলা হয়, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে এপর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ । যার মধ্যে ৫২ % নারী । এরমধ্যে প্রজনন বয়স সীমায় রয়েছে ২৩.৩ % । এই বিপুল সংখ্যক নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম একটি জরায়ু মুখ ক্যান্সার । ইউ এন এফপি এ’র আর্থিক সহযোগিতায় এবং ডিজি এইচ এস ও ওজিএসবি’র সহায়তায় মেরী স্টোপস বাংলাদেশ,রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া নারীদের জরায়ু মুখ ক্যান্সারের সম্ভাব্যতা যাচাই ও চিকিৎসা দেয়ার জন্য একটি প্রকল্প পরিচালনা কওে, যা এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি
আপনার মতামত লিখুন :