হ্যাপি আক্তার : আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের নতুন বাজেটে থাকবে স্বভাবতই বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ। থাকছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে দিক নির্দেশনা ও বরাদ্দ। পুঁজি বাজারের আর্থিক খাত সংস্কারের রূপ রেখাও থাকছে এই বাজেটে। একাত্তর টেলিভিশন, ১২:০০।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে চতুর্থবারের মতো বাজেট পেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।
আগের তিনটি বাজেট পেশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মোহিত। এবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ করেন আ হ ম মোস্তফা কামাল।
২০১৯-২০ অর্থ বছরের নতুন এই বাজেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে থাকছে বিশেষ দিক নিদের্শনা। আর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামের নাগরিকদের সুবিধা পৌঁছে দিতে উদ্যোগও আছে।
বৈধভাবে প্রবাসীদের উৎসাহ দিয়ে প্রনোদনা হিসেবে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ব্যাংকিং পুঁজি বাজারে সঞ্চয়পত্র ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে এসেছে ব্যাপক সংস্কার।
পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. সামসুল আলম বলেন, ব্যাংককে সুযোগ দেয়ার মূল কারণ হলো শেয়ার মার্কেটে পুঁজি সঞ্চয় বেশি হয়।
বাজেটে এসব নতুন উদ্যোগ সময় উপযোগী করা। তবে এই ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়াটাই জরুরি, বলছেন সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার
গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই নতুন প্রকল্প বা এই ধরনের নতুন কোনো ঘোষণা নিয়মিত করা বা এটিকে পরবর্তী সময়ে ফলোয়াপ অথবা সে অনুযায়ী উগ্যোগগুলো বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থঅ নেয়া অনেক সময় থাকে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রত্যাশা করবো নতুন অর্থমন্ত্রীর সময়কালে সংস্কারের বিষয়টিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়ার।
নতুন বাজেটে অগ্রাধিকার পাবে কৃষি ও পানি উন্নয়ন। সাথে গুরুত্ব পাবে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলা। সরকারি সেবার তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া বাস্তবায়নের উদ্যোগও।
উল্লেখ্য, নতুন বাজেটে প্রাথমিকভাবে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮.১ শতাংশ। ২০১৯-২০ বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। আসন্ন বাজেটে ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩.১ শতাংশের সমান। চলতি অর্থবছর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারিত আছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকার বেশি। নতুন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া প্রতিবছরের মতো নতুন বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশের মধ্যেই বাজেটের ঘাটতি রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :