নুর নাহার : বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অবকাঠামোর ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি বছরে ২২০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ আমদানি করা হবে। নিউজ ২৪- ১৪.০০আমদানিকৃত কোচ দ্বারা ১৫টি নতুন ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রেলওয়ে ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
বর্তমান রেলওয়েতে মোট ৪৮টি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার রয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রামের দোহাজারি হয়ে কক্সবাজারের রেল সংযোগ। আরেকটি অগ্রাধিকার প্রকল্প হলো পদ্মা সেতুর ওপর রেল যোগাযোগ স্থাপন করে যশোরসহ সমস্ত দক্ষিণাঞ্চলকে রেল চলাচলের আওতায় আনা।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, সমস্ত রেলপথ আমরা ধীরে ধীরে রুপান্তর করছি। কিছু রেলপথ অকেঁজো হয়ে গেছে। সেগুলোকে আমরা নতুন করে চালু করছি।
এক দশকে রেলের দুই অঞ্চল মিলিয়ে দৈনিক ট্রেনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫২টি। ২০০৮-৯ অর্থবছরে রেল পথে যাত্রী পরিবহন হয়েছিলো সাড়ে ৬ কোটি। এরই মধ্যে রেল যাত্রী পরিবহনে সক্ষমতা ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জাল হোসেন বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান দল ক্ষমতায় আসার পর রেলের দিকে বেশি নজর দিয়েছেন। এবং রেলকে একটি আরামদায়ক হিসেবে তোলার জন্য কাজ করছে।
২ ঘন্টায় ঢাকা-চট্টগ্রামে পৌঁছাতে হাইস্প্রীড রেলপথ নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া মংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে খুলনা মংলা রেল লাইনের কাজ এগিয়ে চলছে।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, ভারত এবং আমাদের মধ্যে যে রেল যোগাযোগ ছিলো বন্ধ হয়ে গেছে। তারা আবার আমাদের সাথে আসায় পুনরায় ৮টি পয়েন্ট ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :