হ্যাপি আক্তার : ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণার আগ মুহূর্তে কৃষিবিদরা বলছেন,এবারের বাজেটে কৃষিতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ধানের দাম বাড়াতে হলে খাদ্য সংগ্রহ একই সাথে গুদামের পরিধি বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্টরা, মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা দূর করতেও জোর দিয়েছেন। একাত্তর টেলিভিশন, ৯:০০।
দেশের বোরো মৌসুমে সবার আগে ধান কাটা শুরু হয় নেত্রকোণার হাওর এলাকায়। এসময় সরকারের ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু না হওয়ায় ন্যায্য দাম নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। শুধু নেত্রকোণা নয়, প্রতিটি জেলার কৃষকদের ধানের দাম না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ কৃষকদের।
কৃষিবিদরা বলেছেন, মহাজন ও এনজিও থেকে কড়া সুদে ঋণ নিয়ে ফসল উঠার পর পরই ঋণ পরিশোধ করতে হয় কৃষকদের। তাই প্রান্তিক চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ওপর দেন কৃষিবিদ ড. পরিমল কান্তি। তিনি বলেন, কৃষকরা ঋণ নিয়ে ধান উৎপাদন করেন। সেই ঋণের সিংহভাগই আসে এনজিও অথবা এলাকার দাদন বা মহাজনের কাছ থেকে।
বাজেট তহবিল দিয়ে খাদ্য গুদাম বাড়ানোরও আহ্বান জানান ড. পরিমল কান্তি। তিনি বলেন, সরকারকে গুদাম বাড়ানোর গুরুত্ব দিতে হবে এবং যে ক্রয় পণ্যপ্রডাক্ট কেনা হলো সেটা সংরক্ষণের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, যাদের কাছে ভর্তুকিটা যাওয়া দরকার তাদের কাছে যেন যথাযথভাবে যায়, সে বিষয়টি অতীতে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
কৃষির উন্নয়নে খাদ্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা করার ওপর জোর দেন কৃষিবিদ ছদরুল আমীন। তিনি বলেন, কোনো সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডমিনেট করে আবার কোনো সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় ডমিনেট। কৃষি মন্ত্রণালয় এতে খুব বেশি ডমিনেট করতে পারে না। যার কারণে এই তিনটির মধ্যে সমন্বয়ও হয় না। ফলে ব্যবসায়ীরা খাদ্য ঘাটতি দেখিয়ে আমদানি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষির ক্ষতি হলে আগ্রহ হারাবে চাষিরা। তাই কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি আনতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের আহ্বান জানান তারা। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :