শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০১৯, ০১:৫০ রাত
আপডেট : ১৩ জুন, ২০১৯, ০১:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুরঞ্জিত হতে পারবেন না রুমিন

বিভুরঞ্জন সরকার : বিএনপির নতুন নারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। প্রথম দিনই সংসদে যথেষ্ট উত্তাপ ছড়িয়েছেন। সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে ১১ জুন। রুমিন ওই দিনই প্রথম সংসদে যোগ দিয়েছেন। আর প্রথম দিনের ‘শুভেচ্ছা’ বক্তৃতাতেই তিনি সংসদ নিয়ে এমন তিক্ত শব্দাবলী উচ্চারণ করেছেন যে তা এক্সপাঞ্জ বা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে হয়েছে স্পিকারকে। ব্যারিস্টার রুমিনকে বাকপটু হিসেবেই সম্ভবত সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। ১৯৭২/৭৩ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই সংসদ মাতিয়ে রেখেছিলেন। তাকে বলার সুযোগও দেয়া হয়েছিলো। তার বাগ্মিতা ছিলো প্রশংসনীয়। সরকারি দলের সদস্যরাও তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন, বঙ্গবন্ধুও তাকে পছন্দ করতেন।

বিএনপি হয়তো তাদের দলের উদীয়মান নেত্রী রুমিনকে এবারের সংসদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ভূমিকায় দেখতে চায়। তার বাগ্মিতা বিএনপি মহলে প্রশংসিত। তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলেন। আওয়ামী লীগকে বিব্রত করতে তিনি এরমধ্যেই নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন বলে কেউ কেউ মনে করেন। তবে ব্যারিস্টার রুমিনের পক্ষে সুরঞ্জিত হওয়া সম্ভব হবে না। তার অনেক কারণ। একটা কারণ সময়। এটা ১৯৭২-৭৩ সাল নয়। সুরঞ্জিত ছিলেন ন্যাপ-মোজাফ্ফরের প্রতিনিধি। ন্যাপের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক বৈরিতাপূর্ণ ছিলো না। সুরঞ্জিত নিজেও ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সদ্য স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক পরিম-লে ছিলো সৌহার্দ্যরে বাতাবরণ। সংসদ নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ ছিলো অনুকূল।

এখনকার রাজনৈতিক পরিবেশ বৈরিতাপূর্ণ। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের নয়। রুমিনকে কথা বলার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ দেয়ার বাস্তব কারণ এখন নেই। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবেন, তারেক রহমানের গুণকীর্তন করবেন, আর আওয়ামী লীগ তাকে বলার জন্য ‘স্পেস’ করে দেবে- এটা বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। তারেক সম্পর্কে সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোভাব কি, সেটা কয়দিন আগে সংবাদ সম্মেলনেও তিনি স্পষ্ট করেছেন । আজ হোক কাল হোক তারেকের শাস্তির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর রুমিন সংসদে দাঁড়িয়ে সেই তারেক-বন্দনা করবেন, তার জন্য তাকে সময় ও সুযোগ দেয়া হবে বলে যারা আশা করেন তারা অতি আশাবাদী।

সংসদের বৈধতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে বিএনপি এমপিরা অন্যদের সমর্থন ও সহানুভূতি পাবেন বলে মনে হয় না। সময় এখন বিএনপির পক্ষে নয়। তাই রুমিনের পক্ষেও সুরঞ্জিত হওয়া সম্ভব নয়। বিএনপির অনেক আশাই যেমন পূরণ হচ্ছে না, তেমনি রুমিনকে দিয়ে সংসদ কাঁপানোর আশাও অপূর্ণ থাকার আশঙ্কাই প্রবল।

লেখক : গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়