শেখ নাঈমা জাবীন : ৩ দিনের মধ্যে সরাতে হবে ২২টি পণ্যে। নিন্মমানের হওয়ায় পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই এ নির্দেশ দিয়ে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে কুলসন লাচ্ছা সেমাই, মুসকান সল্ট, কনফিডেন্স সল্টসহ বিভিন্ন নামি ব্রান্ডের মসলার গুড়া এবং ঘিও। একাত্তর টিভি
এছাড়া ২টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ১১টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৮টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকায় মামলাও হয়েছে। মঙ্গলবার বিএসটিআই-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন করে ২২ পণ্যের বিক্রি নিষিদ্ধ করলেও এ নিয়ে কিছুই জানেন না বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, ‘যে ২২টি পন্য নিষিদ্ধ করেছে, কোনো কোম্পানী এখনো পর্যন্ত এসে বলেন নাই এগুলো বিক্রি করবেন না বা এগুলো আমরা ফেরৎ নিয়ে যাবো। আগের নিষিদ্ধ পন্যগুলো মার্কেটে আবার ফেরত এসেছে। দু’একটি পন্যের বিষয়ে আমরা জানি, বাকি সবগুলোর সম্বন্ধে আমরা জানি না। তবে যে পন্যগুলো নিষিদ্ধ হয়েছে, তা আমরা রাখছি না।’
তবে বিএসটিআই বলছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭২ ঘন্টার মধ্যে এসব পন্য প্রত্যাহার করা না হলে শনিবার থেকে মাঠে নামবে তারা।
বিএসটিআই-এর পরিচালক প্রকৌশলী এস. এম. ইসহাক আলী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করেছি। এবং পরবর্তীতে যদি কেউ বলে তাদের সুযোগ দেয়ার জন্য তবে পুনরায় বাজার থেকে আমরা নমুনা সংগ্রহ করবো। যদি সেগুলো উত্তীর্ন হয় তবে আমরা তা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবো। যদি পুনরায় ফেল করে তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করবো।’
রোজার আগে বাজারথেকে ৪০৬ টি পন্যের নমুনা সংগ্রহ করে তার মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই। গত পহেলা মে প্রথম ধাপে ৩১৩ টি পন্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে তারা। সেখানে ৫২ টি পন্যকে নিন্মমানের বলে ঘোষনা করা হয়। তবে পুনর্বার পরীক্ষায় মানোন্নয়নে সক্ষম হওয়ায় ২৬ টি পণ্যের উপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় বিএসটিআই। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :