আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০১৯ সালের বিশ্বশান্তি সূচকে ৯ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে শান্তির সূচকে বিশ্বের ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। এই তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে আফগানিস্তান। আর তালিকায় সবার উপরে রয়েছে উত্তর ইউরোপের দেশ আইসল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইরিস্টিটিউট অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রতি বছর শান্তি সংক্রান্ত এই সূচক প্রকাশ করে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৯২তম।
এই সূচক অনুযায়ী শান্তি কমেছে পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই। অশান্তি সবচেয়ে বেড়েছে উত্তর আমেরিকায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিবেশীদের প্রতি আচরণই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মধ্য আমেরিকা ও ক্যারেবিয়ান অঞ্চল, দক্ষিণ আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকায় কমেছে শান্তি। আর শান্তি বেড়েছে ইউরোপ, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, রাশিয়া ও ইউরেশিয়া, এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায়।
এই সূচকে ১০১ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের স্বোর ২ দশমিক ১২৬। প্রতিবেশি ভারতের অবস্থান ১৪১। সূচকে দেশটি ৪ ধাপ পিছিয়েছে। তাদের স্কোর ২ দশমিক ৬০৫। আরেক নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ১২৫ নম্বরে। তারা পিছিয়েছে ২ ধাপ। মিয়ানমারের স্কোর ২ দশমিক ৩৯৩। পাকিস্তান ২ ধাপ পিছিয়ে ১৫৩ নম্বরে অবস্থান করছে। তাদের স্কোর ৩ দশমিক ৭২। ১২ ধাপ উন্নতি করেছে নেপাল। তাদের বর্তমান অবস্থান ৭৬। নেপালের স্কোর ২ দশমিক ৩। শ্রীলঙ্কা ২ ধাপ পিছিয়ে ৭২ নম্বরে অবস্থান করছে। তাদের স্কোর ১ দশমিক ৯৮৬। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থান ভুটানের। ২ ধাপ উন্নতি করে তাদের অবস্থান ১৫তম। ভুটানের স্কোর ১ দশমিক ৫০৬।
এই সূচকে ১০৭২ স্কোর নিয়ে সবার উপরে আছে আইসল্যান্ড। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, কানাডা, সিঙ্গাপুর, স্লোভানিয়া, জাপান ও চেক প্রজাতন্ত্র। শান্তি সূচকে এক ধাপ পিছিয়ে সবার নিচে অবস্থান আফগানিস্থান। একধাপ এগিয়েছে সিরিয়া। আফগানিস্থানের স্কোর ৩ দশমিক ৫৭৪ আর সিরিয়ার স্কোর ৩ দশমিক ৫৬৬। এরপরেই শান্তি কম যথাক্রমে; দক্ষিণ সুদান, ইয়ামেন, ইরাক, সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, লিবিয়া, কঙ্গো ও রাশিয়া।
২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এই অঞ্চলে ৩৯ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই ঝুঁকির আওতায় রয়েছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :