শিমুল মাহমুদ : ছাত্রদলের আন্দোলন ও কমিটির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলন ও কমিটি নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি। যে ছাত্ররা দীর্ঘদিন জেল খাটলো, মামলা ও পুলিশের হয়রানির শিকার হলো, অবদানের বিনিময়ে তারা কি পাবে? ওদের কি মূল্যায়ন হবে? দোষটা কার? দোষ কারও নয়। কারণ, গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল তার কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে না।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্রদলের বিক্ষোভের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যেটা হয়েছে, সেটাকে আমি অস্বাভাবিক মনে করি না। কারণ, বড় বড় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনে প্রতিযোগিতাগুলো অনেক সময় প্রতিহিংসায়ও রূপ নেয়। সুতরাং, এটাকে বড় করে বা নেতিবাচক করে দেখার কিছুই নেই। তবে এক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে- সেটা হলো, তাদেরকে বোঝানো এবং এই সিদ্ধান্ত বানচালের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। আর তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করে তাদের মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়, তা আমরা করবো। তাই আমি সবাইকে বলবো, এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেন।’
তিনি বলেন, ছাত্রদল বিরাট একটি সংগঠন। এই সংগঠনের আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক ঐতিহ্য আছে। তবে অতীতের মতো তাদের আন্দোলনের ধারাবাহিক ঐতিহ্যটা নাই। কিন্তু তারপরও তো তারা চেষ্টা করে। ছাত্ররা কোথায় থাকবে? কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা ক্যাম্পাসে যেতে পারে না। তাই তাদের কর্মকাণ্ড ক্যাম্পাসভিত্তিক কিংবা ছাত্রদের নিয়ে কর্মকাণ্ড তারা করতে পারছে না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘ছাত্রদলের নিয়মিত কাউন্সিল হওয়া দরকার। কিন্তু কাউন্সিল হওয়ার মতো হয়তো পরিস্থিতি নেই। যার কারণে আমাদের কাউন্সিলগুলো হতে বিলম্ব হয়। এ কারণে অনেকের ছাত্রত্ব থাকে না। আর কাউন্সিল নিয়মিত হলে ছাত্ররা তাদের অবদান অনুসারে পুরস্কৃত হয়।’
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা তাদের কথাগুলো শুনবো এবং সমাধানের চেষ্টা করবো। আমি বিশ্বাস করি, তারা এটা বুঝবে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে আমরা এটার সমাধান করবো।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে বিএনপির কি লাভ হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো দলের লাভ-ক্ষতির হিসাব করার সময় না। আর আমি যদি দলীয় লাভের হিসেব করি, তাহলে তো ঐক্য হবে না।’
কবে নাগাদ বিএনপি মাঠে নামবে- জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা তো মাঠে নামি। কিন্তু আমাদের মাঠে নামাটা নামার মতো কেউ দেখেনি। সেই দেখানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর বিএনপির জন্ম বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রশ্নে। আর যদি ঐক্য নাও হয়, তাহলে বিএনপি ঘরে বসে থাকবে? তাহলে তো জনগণের দল হিসেবে বিএনপি দায়িত্বশীল দল হলো না।’
তিনি বলেন, কোনো সময় কোনো দল শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে এবং শতভাগ দল গুছিয়ে আন্দোলন করে না। কারণ, আন্দোলনের মাধ্যমেই দলটা গুছিয়ে আসে।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়