ফাতেমা ইসলাম : বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়লেও কুড়িগ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কুড়িগ্রামে এখন দারিদ্রের হার ৭১ শতাংশ। চরাঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। সার্বিক অবস্থায় জেলার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আসছে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ চান জেলাবাসী।
প্রতিবছর নদীভাঙ্গনে ঘর বাড়ি আর ফসলি জমি হারিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৭১ জনে। কুড়িগ্রাম জেলায় এখনও গড়ে ওঠেনি ভারি কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান। এছাড়া যোগাযোগ, স্বাস্থ্য আর চিকিৎসায় পিছিয়ে আছে জেলার চার শতাধিক চরের ৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
বাজেট সম্পর্কে এদের তেমন কোন ধারনা না থাকলেও নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন চান চরের মানুষজন।
এলাকাবাসী জানান, কোটি কোটি টাকার বাজেট হলেও আমাদের এখানে কোন উন্নতি নেই, নেই কোন মিল কারখানা এমনকি রাস্তাঘাটও। তাই এখানে যদি কোন মিল হয় তাহলে এলাকার লোকদের কর্মসংস্থান বাড়বে।
পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, জাতীয় বাজেটে যা প্রাপ্য কুড়িগ্রাম জেলার জন্য তার সংঙ্গে তার অতীতের ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য বাড়তি বাজেট দিতে হবে।
দারিদ্র কমিয়ে আনতে নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধসহ চরাঞ্চলের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। স্থায়ীভাবে চরের ভাঙ্গন রোধ, পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কর্মমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে আগামী বাজেটে কুড়িগ্রামে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হবে বলে আশা করেন জেলাবাসী। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :