সান্দ্রা নন্দিনী : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার জোরগলায় উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতার ওপর নজরদারি করতে সিআইএ নিয়োগের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি থাকতে এরকম কোন ঘটনা কখনই ঘটবে না। এর আগে সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, কিমের নিহত সৎভাই কিম জং নাম মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হয়ে কাজ করতেন। ২০১৭ সালে কিম জং নাম মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নিহত হন। তার মৃত্যু সেসময় অনেক প্রশ্নের জন্ম দিলেও এখনও সে ঘটনার কোনও সুরাহা হয়নি। রয়টার্স

ট্রাম্প বলেন, ‘সিআইএ’কে নিয়ে খবরটি আমার নজরে এসেছে। আমি চেয়ারম্যান কিমকে নিশ্চিত করে বলেছি, আমার পৃষ্ঠপোষকতায় এরকম কিছু কোনদিনও ঘটবে না। আর আমি এরকম কখনও হতে দেবোও না।’
ট্রাম্পের এই দাবি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বক্তব্যের সঙ্গে তার ভিন্নতার সর্বশেষ উদাহরণ। যদিও সিআইএ এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়া উচ্চতর নিরাপত্তাবেষ্টিত হওয়ার কারণে ভেতরের খবর জানতে তাদের নাগরিকরা প্রায়ই সিআইএ’র ‘কঠিন লক্ষ্যবস্তু’তে পরিণত হয়।

ট্রাম্পের বক্তব্যে নাখোশ হয়ে সাবেক সিনিয়র মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এক ই-মেইলে বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের এটি বোঝা উচিৎ যে জাতিকে নিরাপদ রাখতে সিআইএ’কে কূটনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক নীতি ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধার জন্য প্রচুর তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে হয়। তাই তাদেরকে কাজ করার স্বাধীনতা দেওয়া প্রয়োজন।’

এদিকে, ট্রাম্প জানান, তিনি কিমের কাছ থেকে খুব সুন্দর একটি চিঠি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান কিমের কাছ থেকে দারুণ উষ্ণ ও চমৎকার একটি চিঠি পেয়েছি। আমি তো মনেকরি অদূর ভবিষ্যতে দেশটির সঙ্গে খুবই ভালো কিছু ঘটতে চলেছে।’ যদিও ট্রাম্প এপ্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু বলেননি।