ডেস্ক রিপোর্ট : বল টেম্পারিংয়ের দায়ে মাঠে এক বছরে নামতে পারেননি অস্ট্রেলিয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। কোনো আর্ন্তজাতিক ম্যাচে টানা এক বছর তুলোধুনো করতে পারেননি বোলারদের।তবে সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দ্রুতই নিজের জাত চেনালেন এই বাঁ হাতি ওপেনার।
মাঠে ফিরেই তিনি জানান দিলেন, তাকে না পেয়ে এই এক বছর কতটা ক্ষতি হলো অজিদের।এবারের আইপিএলে তার ব্যাটিং, ফিল্ডিং কারিশমা দেখল ভারতীয়রা।দেশের জার্সি গায়ে চড়িয়েও সেই একই ফর্মে আছেন তিনি। বিশ্বকাপের মঞ্চে এসে প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
দীর্ঘ বিরতির পর তার এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের প্রশংসা হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে তার অনবদ্য ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা না হয়ে হচ্ছে তার ব্যাট নিয়ে। ঠিক আলোচনা নয় সমালোচনাই বলা চলে। আর এই সমালোচনার সূত্রপাতে রয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
তাদের দাবি, ওয়ার্নারের এই ব্যাটিং কারিশমার পেছনে রয়েছে এক রহস্য। তাহলো তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন বিশেষ ব্যাট ব্যবহার করছেন তিনি।
ওয়ার্নারের ব্যাট নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাঁ হাতি এই অজি ওপেনারের ব্যাটের হাতলের ঠিক ওপরে একটি ‘সেন্সর’ লাগানো আছে। এই সেন্সরের নাম 'ব্যাট সেন্স'। ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানের শরীর থেকে ব্যাটের দূরত্ব, ব্যাট কত কোণে ঘোরানো হচ্ছে, ব্যাটের সর্বোচ্চ গতি, শক্তির পরিমাণ এসব বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য এই সেন্সরটি দিয়ে হিসাব করা যাবে। সেজন্য লাগবে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। খেলা শেষে মোবাইলের ক্রিনে সব তথ্য উঠে আসবে। আর তার বিশ্লেষণেই মিলবে পরবর্তী খেলার পরিকল্পনা ও পারফরম্যান্স।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি , বেঙ্গালুরুভিত্তিক ‘স্মার্ট ক্রিকেট’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ‘ব্যাট সেন্স’ নামের অ্যাপ্লিকেশনটি কিনেছেন ওয়ার্নার।অতুল শ্রীবাস্তব নামে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা ডেভিড ওয়ার্নার যে এই ‘ব্যাট সেন্স’ ব্যবহার করছেন তা জানিয়েছেন।
যদিও ডিভাইসটি বিশ্বকাপের ম্যাচে ওয়ার্নার তার ব্যাটে ব্যবহার করছেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি শ্রীবাস্তব।
সে যাই হোক ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন তেমন প্রভাব ফেলবে না ওয়ার্নারের ওপর। কারণ ‘ব্যাট সেন্স’ টেকনলজী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি। ২০১৭ সালেই এটি ব্যবহারের অনুমতি মিলে। যদিও এই তিন বছরে কোনো ব্যাটসম্যানকে এই সুবিধা নিতে দেখা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :