নিউজ ডেস্ক : সারা দেশে মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার ৩৭ দশমিক ৬২ আর প্রাথমিক স্তরে এ হার ১৮ দশমিক ৬ বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য তুলে ধরেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। কালের কণ্ঠ।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার তুলে ধরেন। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ সালে ৫৫.৩১%, ২০১০ সালে ৫৫.২৬%, ২০১১ সালে ৫৩.২৮%, ২০১২ সালে ৪৪.৬৫%, ২০১৩ সালে ৪৩.১৮%, ২০১৪ সালে ৪১.৫৯%, ২০১৫ সালে ৪০.২৯%, ২০১৬ সালে ৩৮.৩০%, ২০১৭ সালে ৩৭.৮১% এবং ২০১৮ সালে ৩৭.৬২% শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক জরিপ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এই স্তরে ঝরে পড়ার হার ছিল ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থাপিত এ তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রথম দিকে ঝরে পড়ার হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ব্যবধান বেশি থাকলেও ক্রমে তা কমেছে। ২০০৯ সালে ছেলেদের ঝরে পড়ার হার ছিল ৪২ দশমিক ১৫ আর মেয়েদের এই হার ছিল ৬৩.৯৩%। ২০১৮ সালে ছেলেদের ঝরে পড়ার হার ৩৬.০১ আর মেয়েদের ৪০.১৯%।
দারিদ্র, অভিভাবকের অসচেতনতা, শিশুশ্রম, অশিক্ষা, বাল্যবিবাহ ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :