ইসমাঈল হুসাইন ইমু : সী-শেল প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াব বাজার এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সী-শেল পার্ক করা হয়েছে। যা অবৈধ, তবে সম্পত্তি দখলের প্রতিবাদ করতে গেলেই মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন হুমকির সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
জানা যায়, সী-শেল প্রোপার্টিজ প্রায় ২০ বিঘা জমির উপর একটি পার্ক নির্মাণ করেছে কিন্তু পার্কের বাইরের প্রায় ১৫০ বিঘা জমি জবর দখল করে রেখেছে। এর মধ্যে (ক) তফসিলে রয়েছে ৪০ বিঘা যা সরকারি জমি এবং (খ) তফসিলে আছে প্রায় ৪০ বিঘা এবং স্থানীয় জনগণের ৭০ বিঘা জমি। যা বাউন্ডারি দেয়াল দিয়ে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। সী-শেল প্রোপার্টিজ অল্প পরিমাণ জমি ক্রয় করে এবং সেই জমি বালু দিয়ে ভরাট করার সময় অনেক ভুক্তভোগীর জমিও বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। এর ফলে অনেক ভুক্তভোগীর জমি চাষাবাদ করা হচ্ছে না, অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করলেও লাভ হয়নি। উল্টো সী-শেল প্রোপার্টিজের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর মেরে ফেলার হুমকি ও কোনো কথা না বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
আফসার উদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগী জানান, জাল দলিলের মাধ্যমে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে স্থানীয় মোর্শেদ মেম্বরের সহযোগীতায়। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি মামলা করি এবং নারায়নগঞ্জ পিবিআই বিষয়টি তদন্ত করে তাদের প্রতিবেদনে মোর্শেদ মেম্বরসহ অনেকের বিরুদ্ধে এতটি প্রতিবেদন দাখিল করে (যার স্বারক নং- ২৮৮/১৮। ধারা- ৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৪ নারায়নগঞ্জ পোনাল কোড)। অনেকেই জমি ফিরিয়ে আনতে মামলাও করেছেন, যা বিচারাধীন। কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে রূপগঞ্জ থানায় যায়, কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. জয়নাল আবেদীন উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মনু মিয়া জানান, ওই সম্পত্তিতে একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই মাদ্রাসা ভেঙ্গে পার্কের মধ্যে আবাসিক হোটেল করেছে। যেখানে নানা অপকর্ম চলে। প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিষ্ঠানটি তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মমলা দেয়।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, সী শেল প্রপার্টিস একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন বন্ধু সিটি নামক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। মামলাটি তদন্ত চলছে। যদি বিষয়টি সত্য হয় তাহলে সে যেই হোক না কেন সাধারণ জনগণের সম্পত্তি ফিরিয়ে আনতে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি ভুক্তভোগীদের বলেছি কার কতটুকু সম্পত্তি রয়েছে তার বিবরণ দিয়ে প্রমাণসহ অভিযোগ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :