শিরোনাম

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০১৯, ০২:১৯ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০১৯, ০২:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি, শুধু পোশাক রফতানিতেই আয় ছাড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলার

স্বপ্না চক্রবর্তী : দেশের পণ্য রফতানিতে বড় ধরণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বিভিন্ন পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে শুধু পোশাক পণ্য রফতানি থেকেই আয় হয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি।

গত সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কর্তৃক প্রকাশিত রফতানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রফতানি বেড়েছে ১২ শতাংশ বেশি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ার কারণে সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ইপিবি’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পোশাক রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ১৭৩ কোটি ডলারের বেশি। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। একক মাস হিসেবে গত মে মাসে ৩৮১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয় এই সময়ে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। এরমধ্যে অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি আয় এসেছে ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলার। বিগত অর্থবছরের তুলনায় এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ। যদিও এই ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। একক মাস হিসেবে গত মে মাসে ৩৮১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এটি বিগত বছরের মে মাসের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের মে মাসে রফতানি হয়েছিল ৩৩২ কোটি ডলারের পণ্য।

তৈরি পোশাক পণ্যের রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকার প্রসঙ্গে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি রুবানা হক বলেন, রানা প্লাজা ধ্বসের পর আমাদের পোশাক একটা বড় ধরণের ধাক্কার সম্মুখিন হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছি। এখন আমাদের কারখানাগুলোর মান শুধু উন্নতই নয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রীণ ফ্যাক্টরি আমাদের। কর্মপরিবেশের সাথে সাথে আমরা শ্রমিকদের জীবন-যাত্রার মানোন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছি। তাদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছি। এতে করে শ্রমিকরা বেশি করে কাজ করছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা আসছে। এই খাতে সরকারের সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। তাই আমাদের এ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

তবে ছোট উদ্যোক্তারা কারখানাগুলো বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে এই খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দাবি করছি আগামী ২বছরের জন্য। এই সুবিধাটি পেলে আমাদের এই খাতকে বিশ্বের এক নম্বর পজিশনে নিয়ে যেতে কেউ আটকাতে পারবে না বলে আমি মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়