সুস্মিতা সিকদার : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সোমবার উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং নাম সম্পর্কে এই তথ্য দেয়। ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে কিম জং নাম নিহত হন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন সিআইএ’র সাথে কিম জং নামের সম্পর্কের অনেক তথ্য অস্পষ্ট রয়ে গেছে। ওই ব্যক্তি আরো জানান, কিম জং নাম ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন সিআইএ সদস্যদের সাথে দেখা করতে। এছাড়া তার মালয়েশিয়া যাওয়ার কোন কারণ ছিলো না। তবে, সিআইএ এই দাবি অস্বীকার করেছে। ইয়ন
কয়েকজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিম জং উনের সৎ ভাই অনেক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার বাইরে বসবাস করতেন। তাই তার পক্ষে পিয়ংইয়ং এর ভিতরের খবর রাখা সম্ভব নয়। তবে তার সাথে অন্যান্য দেশের নিরাপত্তা সংস্থা বিশেষত চীনের ভালো যোগাযোগ ছিলো।
ওয়াশিংটন পোস্টের একজন সাংবাদিক এ্যানে ফিফিল্ড জানান, গোয়েন্দা সূত্রে তিনি জেনেছেন কিম জং নাম গোয়েন্দা বাহিনীর লোকেদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সাক্ষাৎ করতেন। তিনি তার লেখা বই ‘দ্য গ্রেট সাকসেসর’ বইয়ে উল্লেখ করেন, কিম জং নামের সর্ব শেষ মালয়েশিয়া সফরের সময় তাকে একটি হোটেলের লিফটে ওঠার সময় তার সঙ্গে এশিয়ান চেহারার একব্যক্তিকে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি মার্কিন গোয়েন্দা। ওই বইয়ে আরো উল্লেখ করা হয়, কিম জং নামের ব্যাকপ্যাকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছিলো। ওই অর্থ গোয়েন্দা কর্মকান্ডের জন্য অথবা তার ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে আয় করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিম জং নাম কে হত্যা করা হয়েছে। তবে, পিয়ংইয়ং এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রতিবেদনে নাম প্রকাশ না করা ওই ব্যক্তি জানান, কিম জং নাম ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন সিআইএ সদস্যদের সাথে দেখা করতে। এছাড়া তার মালয়েশিয়া যাওয়ার কোন কারণ ছিলো না।
আপনার মতামত লিখুন :