স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের সব ফরমেট সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির মালিক ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। সব সময় রানে থাকলেও বিশ্বকাপে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে তেমন ভালো যার পারফরমেন্স ছিলো না তার। যার কারণে তাকে ও তার পবিবারকে নিয়ে নিন্দুকেরা অনেক সমালোচনা করেছে। চলমান বিশ্বকাপেও তার ব্যাট এখনো জ্বলে উঠেনি। তিন ম্যাচ এখনো কোনো ফিফটির দেখা পাননি এই ব্যাটসম্যান। তার জন্য কঠোর অনুশীলন করছেন তিনি। ২০১৫ সালের দিনটি তিনি আবারো ফিরে পেতে চান না এমন আক্ষেপও করেন।
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আগেরদিন ক্রিকইনফোকে তামিম বলেছেন, ‘প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি ছিল না। আমি বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি প্রথম ম্যাচকে (সাউথ আফ্রিকা) হিসাব করছি না। কেননা, এটি ছিল (আন্দিলে ফেলুকোয়ওর) দুর্দান্ত ডেলিভারি। অন্য ম্যাচ দুটিতে নির্দিষ্ট বলে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি আমার দুটি ইনিংসের দিকে তাকান, বুঝতে পারবেন একটি ভুল করেই আউট হয়েছি।’
গত কয়েকবছর ধরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেয়া তামিম বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে এসেই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছেন। তবে বাজে সময় পেছনে ফেলে দ্রুতই ছন্দে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী টাইগার ওপেনার, ‘আমি যতক্ষণ ধরে ব্যাটিং করি, ভালোই খেলি। কিন্তু এরপর একটা ভুল করে ফেলি এবং আউট হয়ে যাই। এটিই ক্রিকেটে হয় এবং এর আগেও বিশ্বের সেরা অ্যাটাকের বিপক্ষে আমি এটি করেছি। যদি আমি না পারি তবে এটিও জীবনের অংশ।’
চলমান বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য প্রত্যাশার চাপকেই দুষছেন তামিম। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তামিমের পাশাপাশি তার পরিবারকে নিয়েও কটূক্তি করা হয়। যদিও সেসব আপাতত মনে করতে চাইছেন না বাঁহাতি ওপেনার। তার মতে, ‘আমার প্রত্যাশার কারণেই চাপ তৈরি হচ্ছে। ক্রিকইনফোতে যারা এটি পড়বেন, তারা কখনোই বুঝতে পারবেন না আমি কী বোঝাতে চাচ্ছি। কিন্তু যারা আমার কাছের মানুষ, তারা জানে আমি কেমন বোধ করছি। আমি যদি ২০১৫ সালে ফিরে যাই, তবে দেখবো আমাকে অনেক ভুগতে হয়েছে এবং আমার স্ত্রী-পরিবারকেও। সেটি ছিল আমার জীবনের কালো অধ্যায়। আবারও বিশ্বকাপ খেলছি। চাই না ফের আমাকে এবং আমার পরিবারকে একই পরিস্থিতিতে পড়তে হোক। একটি কিংবা দুটি ভালো ইনিংস খেললেই মানুষ সব ভুলে যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন :